সেদিনের বর্ষবরণ মেলার ভিড়ে;
আমাকে বরণ করে নিতে হল তারে।
বন্ধু উজ্জ্বল মনে করে খেয়াল ভুলে,
যার হাতে হাত আমার দিলেম তুলে;
উজ্জ্বল সে নয়। ধরা হাতখানি তার
নরম বুঝেই, ভুল ভাঙল আমার।

বিদ্যুদ্বেগে তাকাতেই দেখি সেই মুখ,
মুখখানা দেখে সহসা কাঁপিল বুক;
সেই চেনা মুখ— নাছোড়বান্দা বিশ্বাসে
আমায় প্রেমের জালে জড়াবার আশে,
অনেকদিন আমার পিছুলাগা উতলা;
পাড়ার সে উপেক্ষিত মেয়েটি— উজ্জ্বলা!

বড় সাধ ছিল তার— আমি ওর হাতে
হাত রাখি, চোখে রাখি চোখ, মধুরাতে;
প্রেমময় স্বপ্নীল দিগন্তে ভেসে যাই
দু’জন; ওর এই চাওয়া কখনোই—
রাখতে পারিনি আমি। প্রেম বশ মানি
এ হাত আজ, ধরল তার হাতখানি।

আমার এ হাতের পরশে উল্লসিত
মেয়েটির মুখ থেকে যেন ঝরসিত;
আকাশের চাঁদ ধরার মোহন হাসি।
কেমনে উপেক্ষা করে হাসি রাশি রাশি;
আমি কোন ছার, ফিরায়ে দেই তারে?
এ হাসি ফেরাতে কভু দেবতা কি পারে?

আজ বর্ষবরণের শুভদিনে, তারে
বরিয়া লই, ঘুচায়ে সব স্বৈরিতারে।
তার উষ্ণ পরশ আর নির্মল হাসি
আমারে জিতিয়া নিল ভালোবাসি;
বহুদিন উপেক্ষিত সেই গ্রাম্যবালা,
পরালেম তারে আজ হৃদয়ের মালা।