অতীত জীবনের অঙ্গস্বরূপ। জীবন থেকে তাই অতীতকে মুছে ফেলা অঙ্গহানিরই সামিল। অঙ্গহানি জীবনকে অচলতা দান করে। অচল জীবন কাম্য নয় বলেই বর্তমানের সঙ্গে অতীতের মিলবন্ধন জীবনের জন্য বাঞ্ছনীয় হয়ে দাঁড়ায়। জীবন থেকে তাই অতীতকে ঝেড়ে-মুছে ফেলা যায় না- সে অতীত যত ব্যর্থ আর সুখেরই হোক।

অতীত তাই ভবিষ্যতের ভিত্তি হয়ে ওঠে। ব্যর্থ অতীত জীবনকে আজন্ম সূর্যস্বাক্ষী করে রাখার মানসে কলিজার ভিতর বেদনার্ত আঁচড় কাটে। অশরীরি প্রেতাত্মা হয়ে তা অহরহ আস্ফালনে জীবনের বাধা হয়ে দাঁড়াতে চায়। এ বাধা নিছক অবাঞ্চিত নয়। এ হচ্ছে ভাবী জীবনের ভিত রচনার শিক্ষা। আর সুখের অতীত- সে ক্ষণিক আনন্দ নিয়ে এলেও তার হাতে থাকে পিছুটানের রশি। আনন্দে নিমজ্জিত করে রাখাই তার বাধার অস্ত্র। এ দুয়ের থেকে বুদ্ধিদীপ্ত শিক্ষা নিয়েই রচনা করতে হয় ভবিতব্য সার্থক জীবনের মূল ভিত্তি।