কি কইলি মাইয়ার পো,
ঐ তিনকড়ির লগে বিয়া বইবি?
তিনকড়িরে ছাড়া বাঁচবি না?
ঐ তিনকড়ি কত কুমারী-কিশোরীর
প্রথম সর্বনাশ তুই জানস?
তুই জানস, ও কত জনারে সর্বনাশ কইরা
শ্যাষে ছাইড়া দিছে?
জানি, হেরে আমি ভালাই জানি।
মেয়ের নাছোড়বান্দা আর্তিক্লান্ত উত্তর।
কি! জানস? ভাল জানস?
তবে যা—
ঐ তিনকড়ির টেকার রাঙা পাও দেখছস না?
যা, তাই ধুইয়া পানি খা-গা!
মেয়েটা পিতৃপ্রেমের বোটা ছিঁড়ে নিরবে ঝরে;
ক্ষুধার অভিশাপ মুছে সৌভাগ্য বরণের জন্য।
তার কল্পিত নতুন প্রেমের নগরময় রাশি রাশি খাবার,
সেখানে স্বপ্নজালে আবদ্ধ স্বচ্ছল জীবন আর নির্মল প্রেম!
ধন্যি মেয়ে, ভাগ্যবতী! মানুষের বলাবলি।
কিন্তু কোন কিছুইতো স্থবির-অক্ষয় নয়।
তারপর তাই একদিন সেই স্বপ্নজাল ছিঁড়ল।
ছেঁড়া জালের বিশাল ফোঁর বেয়ে—
পিতার পদমূলে ছিঁটকে পড়ল মেয়েটি!
তার এই প্রত্যাগমনের বার্তা পিতার দূরদর্শী অন্তর জানত;
তাইতো সে দুখের দ্বার বেদনার চাবিতে খুলে রেখেছিল।