বিশেতে বিদ্যার সময়, চল্লিশে ধন;
এ কাল পেরিয়ে গেলে সব ঠনঠন।
প্রবাদের এই স্তুতি জীবনের খাতে,
অক্ষরে অক্ষরে যেন রহিয়াছে গেঁথে।
আমার জীবন বাঁকে তাহারি আভাস
নিয়ত আমায় হেসে করে পরিহাস।
বিশেতে হয়েছে ভ্রম সরস্বতী ধ্যানে
চল্লিশে পড়েছে ছেদ লক্ষ্মীর সাধনে;
তাই দেবী সরস্বতী বিমুখ বেজায়—
হইয়া জ্ঞানেতে অন্ধ রাখিল আমায়।
বিদ্যাহীন জ্ঞানপাপী বিদ্যার এ যুগে,
জ্ঞানের প্রদীপ মোর বাতাসের বেগে—
নিভে যেতে চায়, জ্ঞানরূপ দীপাধার
শূন্য করি; জ্ঞানবিশ্ব করিয়া আঁধার।
আমার জ্ঞানের বিশ্ব তাই তো আঁধারে—
কুক্ষণে মিলিয়ে যেতে চায় বারে বারে।
ধনের ভাণ্ড আমার ঠিক তথৈবচ;
তাই তো খুঁজি মা লক্ষ্মী তুমি কোথা আছ,
হবে নাকি তুষ্ট মাগো অকাল বোধনে?
ভাবিয়া মরছি আমি এই কু-লগনে।
ত্রেতাতে রামচন্দ্র করি অকাল-পূজা;
জাগালেন ঘুম থেকে দেবী দশভূজা।
তা থেকে অকাল হল কালের বোধন
কলিতে বিস্ময় এক গড় মা নূতন!
হয়ো না বিমুখ মাগো মিলে দুই বোন
হারিয়ে কেমনে বাঁচি বিদ্যা আর ধন?
এ অধম সন্তানে মা ঘুচাও আঁধার;
চল্লিশোর্ধ্ব এ জীবন শুধু হাহাকার!