নিস্তব্ধ একাকী মনে,
হৃদয়ে প্রেমের বাসনা জাগে।
চাতকের মতো_
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে
ব্যর্থ প্রেমের আশায়।
বৃষ্টির জলে চাতকের প্রাণ;
ব্যথিত মনে ভালোবাসার গান,
আনন্দ আজ বর্ষা হয়ে
ঝরে পরে।
প্রকৃতির কোলে মাথা রেখে
দু-জন ভালোবাসে,
আর তাকে দেয়;
ভালোবাসার ফসল,
কিন্তু তাকে কেউ ভালোবাসে না।
সে শ্রাবণকে কেন এত ভালোবাসে!
শ্রাবণ কি তাকে কখনো ভালোবাসবে
এমন করে?
শ্রাবণ চলে গেল মঙ্গলের লক্ষ্যে;
দূর থেকে দূরে নাহি পায় দেখা,
এমন করে তারে একা রেখে
চলে যায়_
দিন-রাত এক হয়,
সব ভুলে সভ্যতার আলোয়।
এখন সভ্যতা খুব আধুনিক
আর ভালবাসা অত্যাধুনিক,
তাই তার একাকিত্ব মেটে না।
পরে আরও দিন দিন
জীবন অনেক রঙিন-
বোঝে সে।
বর্ষা যায় মৌ-বনে মৌমাছি আসে
ফুল হয় বর্ণালী প্রজাপতি খেলে-
নিজের আপন খেয়ালে।
আবার চলে যায় বিমর্ষতা দিয়ে
নতুন জীবনের দিকে।
বিপর্যয় আসে মৌমাছি
চলে যায় মৌচাক ছেড়ে-
বিঁধে থাকে তার বিষাক্ত বিষ।
নীল হয় মন, শরীর থাকে ঝিমিয়ে
মরে না সে _
প্রতিনিয়ত মৃত্যু কামনায় বেঁচে থাকে।
জীবনের সব শেষ কি আছে পরে
মনে হয়!
আমি জানি-
কষ্ট নিয়ে বুকে আমি বেঁচে থাকি,
জেগে থাকি নিঝুম রাতের অন্ধকারে।
আলো জ্বলে মোবাইলে;
জোনাকি তো নেই আর পৃথিবীতে।
যে পৃথিবীতে হৃদয় নেই;
যে হৃদয়ে ভালোবাসা নেই,
গাছের মতো,ঘাসের মতো,ফুলের মতো
সে আবার পৃথিবী নাকি!
সে আমার বাংলা নাকি?
আমি মানি না_
আমার জগৎ একলা জীবন
জীবনসঙ্গী নাহি সহে প্রানে।
যে পৃথিবী ছেড়ে-
শ্রাবন্তীর বৃষ্টিভেজা মুখখানি
হারিয়ে যায়,
যেখান থেকে-
মৌমিতারা মৌচাক ছেড়ে চলে যায়,
শূন্য ঘরে একলা বসে থাকি।
আর আলো জ্বলে না;
অন্ধঘরে দম বন্ধ হয়ে আসে,
কে বোঝে?
কে বোঝে প্রাণের দুঃখ,কষ্ট,বেদনা
সেখান থেকে ভাঙে মন
জন্ম নেয় অন্যজন,
যে শুধু চায় না ভালবাসা।
চায় সে কাছে আসা প্রিয়ার অন্তরঙ্গতা,
আর একটু বিলাসিতা।
একেই হয়তো বলে সভ্যতার ভালোবাসা।।