'কোথায় যাচ্ছো হে নিখিলেশ!'
উফ্! কী দূরন্ত আশা, তবে রবিঠাকুরের সেই প্রাচীর বাঙালি নয়
১৯৭০ এর ক্ষুধার্ত বাংলা। সঙ্গে আমার একটি ভয়ঙ্কর বাক্য
'ছুটে যেতে দাও আমাকে আমার...'
তারপর ভাবি, না, থাক্
'কোথায় যাচ্ছো হে নিখিলশ'ই ঠিক আছে।
মনে ভাবি কান্টের দর্শন সবার জন্য নয়
আমার অসভ্য কবিতা সভ্যদের জন্য নয়।
তা কি আমাদেরই ব্যর্থতা?
গল্পে পড়েছিলাম 'নীরা'র অসুখে নাকি কোলকাতা সুস্থ থাকেনা।
আজ আমার একটি ভালো কবিতা খুঁজতে গিয়ে দেখি আমি নিজেই সুস্থ না।
তাই কবিতা আর হয়না।
মানবধর্ম, কথা বলার কথা না থাকলেও
অন্যের সমালোচনা শেষ হয় না
তাই বলি, ওহে রবিঠাকুর! আপনি এখন থাকলে কী
বাউন্ডুলে 'হিমু'র প্রেমে পড়তেন না?
আপনি কী 'নীরা'কে নিজের প্রেমিকা মনে করতেন না?
আপনি থাকলে কী আমার সব কবিতা গুলি পড়ে বলতেন না
'না হে, এ'সব কবিতা হয়নি, শুধু খাতার শুভ্রত্ব
ও কলমের নীলত্বের বৃথা অপচয়।'
কী করতাম তাহলে আমি?
তবে কি আপনাকে প্রশান্তর 'গ্ৰীষ্মকাল' বা
আমার সেই লাইন শুনিয়ে দিতাম 'ছুটে যেতে দাও...'
আপনি হয়তো বলতেন, ছুটে যাবার আবদারে এযে উড়ে চলা!
থাক্, ছোটবার দরকার নেই, বাইরে বৃষ্টি
বর্ষার দুটি মাস, আষাঢ় কালিদাসি, আর শ্রাবণ আপনার।
আমাদের জন্য আর বর্ষা কই?
তাই গ্ৰীষ্মেই এখন বর্ষা হয়, কারণ আজকের তীব্রতা বর্ষাতেই শোভা পায়।
কোথায় ছিলাম? ' ওহে নিখিলেশ...'