তোমার মনের মণিকোঠায়, বাজাবো আমি বিষাক্ত বাঁশি
তোমার মনের অন্ধকারে, জ্বালবো আলোর জিয়নকাঠি।
তোমার ভোরের স্বপনগুলো, উড়িয়ে দেবো ডানামেলে
তোমার কষ্টের বিষবাষ্প, পাঠিয়ে দেবো অচিনপুরে।
তোমার চোখের গভীর বনে, ছুটিয়ে দেবো পাগলাঘোড়া
তোমার মনের দাবানলে, পুড়িয়ে দেবো আগাগোড়া।
তোমার হাতের স্পর্শ পেয়ে, উন্মাদ হবে জীর্ণ স্থবির
তোমার জন্য সুইসাইড নোট, একশত আটটা কবির।
তোমার জন্য তোমারই মন, আমার থেকে অনেক দূরে
তুমি তখন ট্রেনে করে কু ঝিক ঝিক সোনারপুরে।
তোমার দেখা তারাগুলো, দেখাচ্ছে বেশ বড়সড়
তোমার নদীর পলিমাটি, জ্যোৎস্নালোকে জড়সড়।
তোমার দেখা জীবনগুলো, প্রাপ্তিযোগে অনেক দূরে
তোমার জন্য পিয়ানোটা আজ, বাজছে অরফিয়সের সুরে।
তোমার পলাশী বনের মাঝে, পাগল খুঁজছে অল্প মউ
তোমার ঘরের গোধূলিতে, কোন সে এক অজানা বউ?
তোমার জন্য এখনও আমি, আনতে যাচ্ছি পরশমণি
তোমার জন্য ভিখারিটা আজ, গরীব থেকে বিশাল ধনী।
তোমার জন্য আমারই মন পড়েছে আজ ভাঁটার টানে
তুমি তখন ট্রেনে করে, সোনারপুরের কোন খানে?
তোমার তৈরি সলতেগুলো, জ্বলছে আজও সাগর ধারে
তোমার জন্য সন্ধ্যাপ্রদীপ, জ্বালাবো টোকিও টাওয়ারে।
তোমার জন্য ব্যর্থ আমি, চোখের জলে ভেজাই গীটার
তোমার জন্য আম্বানি আজ, গাড়ি কিনেছে অনেক সিটার।
তোমার আঙ্গুলের ইশারাতে, কাশ্মীর আজ ফুলের বাগান
তোমার জন্য কবিতা ছেড়ে, লিখবো একটা প্রেমেরই গান।
তোমার চোখের কাজল দিয়ে, শুরু করবো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
তোমার জন্য ভরে এলো আজ, আমার একান্ত খানা-খন্দ।
এই দুনিয়ার নদী-নালা, নিচের থেকে ওপরতলা
দেখবে চোখে ঈর্ষা নিয়ে, আমাদের জীবনচলা।
তোমার জন্য আমারই মন, রাস্তা করে ভালবাসার
তাই একদিকে আমি, আর অন্যদিকটা কল্পগাথার।