পঞ্চমীর আলোয় যে মেয়ে হাসত,  
নতুন শাড়িতে ফুটত তার বাসন্তী রাগ,  
হাসপাতালের বিছানায় বিবস্ত্র সে শুয়ে,  
ফিরল না আর সে তার মায়ের কোল ছুঁয়ে।

ষষ্ঠীর বিকেল, প্যান্ডেলে তার ছোটা,  
রঙিন চুড়ি, হাসিতে ভরা মুখখানি গা ছোঁয়া,  
ঠোঁটের কোণে আজ জমাট বাঁধা রক্ত,  
মৃত্যু এসে কড়া নাড়ে, নিয়ে গেল সবকিছু একসাথে।

সপ্তমীতে শ্রীভূমি এবার একলা রইল,  
চশমা তার চুরমার, দেখা হলো না দুর্গার মূর্তি,  
অষ্টমীতে মায়ের কোলে ফেলে গেল থালা,  
উপোস করে বসে আছে মা-বাবা, শূন্যতায় ভরা।

নবমীর রাতে মাংসের ধুম,  
তবু কোথাও নেই তার নিঃশ্বাসের সুর,  
রাত্রি জাগে সবাই, অথচ সে নেই,  
ঘুমের দেশে হারিয়ে গেছে প্রিয়জন সবাই।

দশমীর ভাসান এবার হলো না পুজোর গানে,  
শ্মশানের অগ্নিতে পোড়ালো তাকে,  
আলো নয়, এবার এল অন্ধকারে,  
মা আসছেন আন্দোলনে, যুদ্ধের ধর্নাতে।

যখন দশভুজা অসুর করবে নিধন,  
মোদের মহাষ্টমী, তখন হবে সন্ধিপূজা,  
মৃত্যু আর জীবনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে,  
প্রতিটি অশ্রু বলবে তোমার প্রতিশোধের কথা।।