আজ একটা কবিতা মনে পড়ল ,
খাপছাড়া স্মৃতির আড়ালে ,
মনের গভীরে
সে এতদিন ঘুমিয়ে পড়েছিল;
ডাকেনি কেউ তাকে একবারও
তাই তার ঘুম ও ভাঙেনি।।
হারিয়ে যাওয়া টাইফুনের মতো তার খোজ মেলেনি বহুদিন,
অনেক উপেক্ষা সহ্য করে নিরিবিলি অন্ধকার কোটরে
তার অধিবাস
এক বারের জন্য জানতে পারে নি কেউ-
চুপ ছিল,
তবে মৃত নয়!!!
তার ভালো লাগা মিশে গেছে  মেঘে ঢাকা নিকষ কালো মহাকাশে
তার ক্ষতবিক্ষত তনু রণাঙ্গনে "বিষাক্ত" ছোবলের সাক্ষী!!
লড়ে গেছিল সে।
প্রাণ দিয়েছিল সে ....
কিন্তু কথা তো ছিল প্রাণ নেওয়ার!!
দেশজুড়ে যখন দাঙ্গা আর সংঘাতের ললাট-লিখন ফলপ্রসূ হতে চলেছে,
একদল বুর্জোয়া নরখাদক নিস্পৃষ্ঠ করে চলেছে আগামীর সূর্যোদয়,
কাঁটাতারে ঘিরে রাখা সুজলা- সুফলা মায়ের বুক বিদীর্ন করে ছুটে চলেছে রাইফেলের বজ্রনিনাদ!!
শোষিত নিগৃহীত শীতল দেহতলে শকুনের ছায়া।
উরে চলে নতুন শিকারের সন্ধানে।

কবিতাটা কিভাবে যে শুরু করি....
থাক না যত কাব্যের রমরমা,
কবিতা তো কবিতাই:
তাতে শব্দ আছে ক্লেদ আছে হৃদয় আছে।
সুপ্ত আকাঙ্খা আছে ,
আছে অত্যাচরীদের টুটি চেপে ধরার নির্মম আর্তনাদ।।
কি জানি যদি একবার জলে ওঠে ?
নিভে যাওয়া তুষের আগুনের মত দগ্ধ করে যাবে গোটা সমাজকে।
যেমনটা সেদিন হয়েছিল....
আর সহ্য করেনি!
বিপ্লবীর রক্তে রাঙ্গানো বঙ্গভূমি প্রতিশোধ নিয়েছে,
নির্ভীক হুঙ্কারে ছিনিয়ে নিয়েছে
একেকটি প্রাণের দাম,
আমার মাতৃভাষা র সম্মান!!
হ্যা তবে পথটা ছিল ব্যতিক্রমী
একটু আলাদা,
সংগ্রামটা ছিল জাগরণের ,উত্তরণের;
ধুঁকে পচতে থাকা জাতির বুকে নতুন আসার আলো দেখিয়েছিল।
বাঁচতে শিখিয়েছিল নতুন করে
আর শিখিয়েছিল রুখে দাড়াতে।
নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিল জাতির বুকে।
আধমরা মানুষের চোখে আসার স্বপ্ন ফুটেছিল,
সব কিছু উজাড় করে আপন করতে শিখিয়েছিল দেশটাকে।

আর,

অত্যাচারীদের মুখোশ খুলে সপাটে দুটো চর কসিয়েছিল;
এই সেই "একুশে" ফেব্রুয়ারি,
আমার গর্ব, আমার মাতৃভাষা।।