তোকে কল্পনায় কত না রঙে এঁকেছি বারবার
কখনো আধ সোয়া নির্লিপ্ত চোখে,
কখনো আবার বিরহ ভাঙ্গা মৃদু হাসির রেখায়
তোকে তুলির আবহে ভরিয়েছি দেবারোহে!!
সেদিন তুই ছিলি ,তোকে দেখেছি চোখের আড়ালে
গোপনে লিখে নিয়েছি তোর মুখের আদল নিজের বুকে।
দ্বিধাভরা মোহেরা যদিও হাতছানি দিয়েছিল খানিক
শান্ত হৃদয়ে তাদের ছাড়িয়ে পাড়ি দিয়েছি সুদূর সাহারায়।
অনেক সময় ধরে ছুটে চলেছি তৃষ্ণার্ত পথিকের বেশে;
উন্মত্ত মরীচিকা আর ধু ধূ বালুচরে নিঃশব্দে বিলিয়েছি নিজেকে।
এত টুকু প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াই আজও,
নিজের প্রতিলিপি এঁকে দিন কাটে নিরালায়।
উষ্ণ মরুপ্রান্তর অহর্নিশ চিৎকার করে বলে চলে "কাছে এসো সখা"
আমি শীতল হতে চাই
হঠাৎ ধেয়ে এল দুরন্ত মেঘেদের সারি
অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত
মুহূর্তে ছেয়ে গেলো চারিদিক কালো আঁধারে
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে শোনা গেল বজ্রণিনাদ।
তবে কি আজ আমার মুক্ত হওয়ার দিন?
আজ কি তবে আবার দেখা হবে এই রুক্ষ অঙ্গনে কোন কালো হরিণীর সাথে ।
প্রাণের সঞ্চার হলো যেন বুকে ,
নীলাভ দৃষ্টি যেন আবার ফিরে পেলো শুভ্র মাদকতা।
নিশ্চল আমি, স্থবির এক রত্তি প্রাণের আরহ।
বহু যুগের সমাপ্তি যেন আজ, মহাপ্রলয়ের অপেক্ষা
নবদিগন্ত জুড়ে দেখা দিক সৌমাল্য!
নবরূপে নবীন প্রজন্মের আবাহন যেন
জীর্ণ হীনা রুক্ষতাকে গ্রাস করেছে!
আজ আবারো নতুন ভাবে খুঁজে পেলাম নিজেকে
নতুন বিস্ময়ে নতুন আবেগে,
আমার পৃথিবীকে।
অনেক পথ পেরিয়ে আবারো পেয়েছি
তোর রঙিন জলছবি -
হারাতে দেব না কিন্তু!!