যে ছেলেটি কুয়াশার চাদর মুড়ে কুঁকড়ে শুয়ে আছে
তার মাথার বালিশটি শ্যাওলা ধরা এক টুকরো ভাঙা ইট,
যা দিয়ে তোমরা গড়েছো এই বিশাল ইমারত, অট্টালিকা
তাকেই তোমরা ব্যঙ্গাত্মক সুরে চিৎকার করে বলো 'কালপিট'।
এই বিশাল কালো আকাশ আজ ওর বাড়ির নিশ্ছিদ্র ছাদ
ওর ছাদেই তোমরা ওঠো, রাজত্ব করো, ওকে না জানিয়েই,
ওর সিলিং থেকে ঝুলছে চাঁদ, তারা আরও কত শত নক্ষত্র
ওরও বা কম কিসে তবুও ওকে থাকতে হবে পথের ধারেই।
ও একা নয়, ওর পরিবারে আছে কুকুর, বেড়াল আর পাগল
তবুও ওরা কেউ কাউকে চেনে না, কারোর রাখে না খোঁজ,
সবাই যেন অপরিচিত, ঠিক যেমন তোমরা অভিনয় করো,
ওরা সারাদিনে শুধু একবেলা খায় যা তুমি নষ্ট করো রোজ।
ওদের জন্ম পথের ধারেই আর পথের ধারেই মৃত্যু ওদের
তোমার নোংরামি চার দেওয়ালে বন্দী, তাই তো ওরা বর্বর,
ওরাও চায় কেউ ওদের হাতে টাকার বদলে দিক শিক্ষা আর
জানি, ওদেরকে সর্বদা সুস্থ রাখবে আমার কর্দমাক্ত শহর।
৩ রা ডিসেম্বর
চিতুড়ী, স্বরূপনগর