ভ্যানের চাকার সাথে জীবন যেন চক্রবৃদ্ধি সম্পর্কে জড়িত
ক্লান্তির চাকায় পিষে তবেই তাদের ঘরে হয় লক্ষীর প্রবেশ ,
মাথার উপর শুকনো কাঠের বোঝায় তাদের লজ্জাহীন খাদ্য
কিছুই দেইনি এদের তবুও বলে এদের জন্যই নাকি এ দেশ।
ভোর রাতে কুয়াশার মায়াজাল কাটিয়ে দিন শুরু হয় চাষবাসে
কখনও পুরুষের জামা পড়ে গোড়ালি জলে ধানের বীজ রোয়া,
সংসারের বোঝা কাঁধে নিয়ে নিদ্রাহীন রাতে আগামীর ভাবনা
স্বার্থপর ঈশ্বরের কাছে পরিবারের জন্য আরও একবার দোয়া।
এক অদমনীয় নারী রূপে কখনও দেখা যায় ড্রাইভারের সিটে
আবার কখনও দর্জি রূপে একটানা আওয়াজের সাথে আপোষ,
কখনও ভোর রাতে স্বামী সন্তানের জন্য খাবার আয়োজন তবুও
দিনশেষে তাকে শুনতে হয়, যা কিছু অন্যায়, সব তার দোষ।
সবাই বলে নারীরা নাকি অবলা, পরনির্ভরশীল, কিছুই পারে না
কিন্তু আমার মা, যিনি দূর্গা নন তবুও সমাজ তার কাছে ঋণী,
হেয় করো না বরং সম্মান দাও, একবার সুযোগ দাও ওদের,
এ গল্প এক অদম্য নারীর যিনি সব দিক থেকে ভীষণ গুণী।
৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
চিতুড়ী, স্বরূপনগর