আমি সেই নারী
যে সকাল হলেই মত্ত হয় তোমার সেবায়,
যাকে না দেখলে তোমার হৃদয় হয়-
বাঁধন ছেড়ে হৃদয় হারা পথিক;
আমি সেই নারী।।
আমি সেই নারী
যাকে তুমি রোজ দেখ,
মন্দির -মসজিদ-গির্জা-মক্তব-পাঠশালা
বাস-ট্রাম-স্কুল-কলেজ সর্বত্র।
আমি সেই নারী
যার রাঙানো সিঁতি,
কোমর, আলতা পরা পায়ে নুপুরের আওয়াজে,
আবির আভা মিষ্টি ঠোঁটে
তুমি হও অপলক দৃষ্টিধারী।
হুম, আমি সেই-
আমিই সে
যে তোমার মঙ্গল কামনায়
সিঁথিতে রাঙিয়ে রাখি সিঁন্দুর,
হাতে শাঁখা-পলা-লোহা,
কপালে লাল টিপ;
হ্যাঁ আমি সেই মেয়ে
আমি সেই আফ্রিকার বীরাঙ্গনা কালো বধূ ,
পাহাড়ি অঞ্চলের চা বাগানের মালি।
আবার পুরানের সেই
মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা,
রক্ত খেকো কালি,
আবার ঘরে ঘরে মহালক্ষ্মী,
স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা-
ঝাঁসির রানি, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত ।
তবে বল, বল?
কেনো আজও আমি ধর্ষিত,
অপমানিত-লাঞ্ছিত-নিপীড়িত?
বাড়ির থেকে বেরোলে কেন আজও বলে মোরে
মাথা ডাকো, উর্নাটা এইভাবে নাও;
ওদের সঙ্গে মিশবে, এদের সঙ্গে মিশবে না,
রকের ছেলেদের কথায় কান দেবেনা?
বল ওহে কাপুরুষ সমাজ?
নারী বলে কী আমার বাঁচার অধিকার,
স্বাধীনতা কিছুই নেই??
বল? বল?
বল ওহে বিষাক্ত সমাজ,
কি রয়েছে দোষ আমার??
(রচনাকাল-২৬/৮/২০২৪)