আমার একাত্মতা, আমার বিশ্ব-দেউল, আমার অহং
ওরা ছিনিয়ে নিল। ওরা হিংস্র, ওরা অদ্ভুত কলুষিত।
সারা মুখে হাতে পায়ে মোর ধবধবে পোড়া ঘার বিশ্রী গন্ধ।
আমি নিঃস্ব, ওরা হরণ করল আমার শেষতম বস্ত্র;
অট্টহাস্য হেসে লুকিয়ে দিল আমার করুণ আর্তনাদ।
তিল তিল করে গ্রাস করলো আমার পল্লীবালা:
রমণী জল আনার দল, কাক ভোরে কৃষাণ লাঙল বলদ।
রাখালের সু মধুর সুরে বাঁশির ডাকে গাভীমার বিচরন।
দিন শেষে হ‌ইহ‌ই কিচিরমিচির শব্দে নীড়ে ফেরার বেহারা।
সবুজে ভরা শষ্য রঙিন আকাশ জলের ছলছল।
গোধূলি বেলায় মঙ্গল কামনায় বধূর প্রদীপ প্রভা,
দূর থেকে ভেসে আসা শঙ্খ উলুর ধ্বনি, মন্দিরে
মন্দিরে আরতি ভজনের সুরেলা নিষ্পাপ আলো।
ওরা হিংস্র পাশবিক, হায়নার মতো লাফিয়ে
লুট করলো সমস্ত জ্যোতি; চুষে নিল মোর যৌবন রস।
আর জন্মালো না কোনো ফিনিক্স, আমি একাকি নিঃস্ব পল্লী ।
রজনী শেষে এখনো ধরেছি কার্তিকের জাগ প্রদীপ।