অনন্য এ কালের বুকে
কোথায় গেল সে!
চারিদিক ঘিরিঘিরি
কোথাও নেই তার বিন্দুখানি!!
দিকবধূ ছলছল
আঁখি দুটি কালো।
কৃষক হয়েছে নিরুপায়,
মাথায় পড়েছে তার হাত।।
পথিক শ্যামল কালো,
বাঁশি ওলা রাখাল হয়েছে
পাষাণ পাগল।।
নেই কোনো সুরেলা কণ্ঠ,
চারিদিক বিভোরে পড়ন্ত।
যেন বেঁচে থেকেও মরিমরি
বেদনার মফসসল।।
দেখা দাও, দেখা দাও,
করে আর্তনাদ।
তবুও নেই দেখা,
কাক-পক্ষী সব
অকাতরে দিশেহারা।।
ভূমি অনুর্বর,
মাটি ফেটে চৌচির।
খাল-বিল-নদী-নালা
জল বিনা আধপোড়া।।
গাছ গুলি মরমর,
পাতা বিবর্ণ।
তপনের দাবদাহে
দুনিয়া বড়ই কাতর;
যেন মনে হয় যাবে চলে
এখন‌ই জীবনের শেষ শ্বাস।।