হে বীর!
১৮৯৭-এ জন্ম তোমার , ২৩শে জানুয়ারি
দেশের জন্য তোমার এ দান, আমরা কি ভুলিতে পারি?
সেদিন,
ভারত আমাদের ভারত ছিলনা, ব্রিটিশ আধিপত্য,
ছিঁড়েছিল বুক মায়ের বোনের, ছিল যে তারা দৈত্য।
গান্ধীবাদীরা অহিংসার পথে এগিয়ে নিয়েছিল দেশ
দুইবারে তাই ছেড়ে দিয়েছিলে জাতীয় কংগ্রেস।
যেদিন,
বুঝেছিলে তুমি শাসন-শোষন এমনে দমিবে না আর।
জাপান ইতালিতে ভর করে সেদিন করেছিলে প্রহার।
সিঙ্গাপুরের সিংহ-বাহিনী 'আজাদ-হিন্দ-ফৌজ' নিয়ে
থাবা বসিয়েছিলে, ইংরাজের বুকে,গুলির আঘাত দিয়ে।
কেঁপেছিল বুক, ভেঙেছিল হাড়, গান্ধীবাদ নয় যে আর
দেশকে এবার মুক্ত করতে, আমরা সবাই করবো প্রহার।
তার এই বাদে সিংহনাদে লড়েছিল বুক ব্রিটিস তাদের
ছিন্ন মূলে উপড়ে দিয়েছিল, ভারতভূমি ছিল যাদের।
যখন,
দেশের নেতা, রাজনীতিতে ইংরাজদের হাতপা চেটে
তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তাদের পদের লোভে, প্রচুর খেটে।
সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে রেখেছিল জীবন বাজি
উৎসর্গ প্রান, হয়েছ মহান তুমিই নেতাজী।
বিশ্বকবি দেশের রবি তোমার দেখানো পথে
বসিয়েছে তাই তোমাকে দেশের দেশনায়কের রথে।
ভারতবাসী কেঁদেছে সেদিন যেদিন ধরা দিলে
দেশের তরে জীবন তোমার উৎসর্গ করিলে।
ভুলিনি তোমায় ভুলবোনা কভূ এই হৃদয়েই রবে
বলেছিলে যবে রক্তের তরে এদেশ স্বাধীন হবে।
'তোমরা আমাকে রক্ত দাও' বলেছিলে হৃদয় চিরে---
হাজার হাজার লক্ষ মানুষ নিয়েছিল তোমায় ঘিরে।
'আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো ' বলেছিলে যেদিন হেঁকে
পেয়েছিল আশা পরাধীন দেশ তোমার সাহস দেখে।
যেদিন দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেদিন ছিলে না তুমি
দেশের জন্য দেশ ছেড়েছ, তাই ধন্য ভারতভূমি।
ভারতবাসীকে মুক্তি দিয়েছ, ভারতবাসীর দেখা
তোমার এই দান, কীর্তি মহান স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
আজ যে ভারত স্বাধীন দেশ, তার মূলে যে তুমি
স্বাধীন ভারতে, জন্মদিনে তাই তোমার চরণ চুমি।