ছিপছিপে সেই মেয়েটির কথা আজকে বলি শোনো
হাসতো সে যে সবসময়ই, দুঃখ ছিল না কোনো।
ছুটতো শুধুই অকারণে এখান ওখান থেকে
দুই পায়েতে তিড়িং মিড়িং চলত এঁকে বেঁকে।
দেখলে তাকেই রাস্তার ফুল, উঠতো দুলে দুলে
ঝুরঝুরে তার চুলগুলি তখন, উঠতো ফুলে ফুলে।
চুল খোলাতে বিশাল রাজি, কাজল কালো চোখে
অল্পখুশিই বিশাল আনন্দ তার, ফুটতো চোখে মুখে
খালি নাকে তার ছুরির ধার, হৃদয় কমলে ঠাসা
আমার হৃদয়ের পোড়া বাড়িটাই বেঁধে নিয়েছিল বাসা।
তার চোখেতে গভীর কালো আমার আঁধার মনে
করে দিত আলো হাসিতেই তার প্রতিটি ক্ষনে ক্ষনে।
কোমল ঠাসা চমচমে তার কচিকাচা গাল দুটি
আমার পড়ে থাকা হৃদয়ের তারে দিয়েছিল দুই খুঁটি।
ঠোঁটগুলি তার ঈষৎ কালো লালচে আভরণে
আগুন লাগাতো দেখতাম আমি আমার হৃদয় বনে।
সব পুড়ে ছায় হয়ে যেত হায়, আবার আলতো হাসি
প্রতিদিনই সে বলতো ওরে , এবার আমি আসি।
ছুটে যেত মন হৃদয়ের আগে তারই ওড়নারই পিছুই
ফিরে আসতো খালি হাতেই, পেত তারা না কিছুই।
সূর্য ঘিরে মেঘ করেছিল এক অমাবস্যার দিনে
শ্যামবর্ণা মেয়েটিও যেন আমায় নিয়েছিল চিনে
ছুটেছিল সে রেললাইনে কপালে সূর্যের আলো
পৃথিবীজুড়ে অন্ধকার তাই আর জ্বলাইনি আলো।