চতুর্দিকে রাঙামাটি---
হাল লাঙলে,দলে বলে
মনের সুখে, কোলাহলে---
পুরুলিয়ার চাষের পরিপাটি।
রাত্রি শেষে, ভোরবেলা
আষাঢ় শেষে, মেঘের বেশে
বৃষ্টি আসে, চাষের দেশে;
করে অবুঝ সবুজ খেলা।
সন্ধ্যাপ্রাতে ক্লান্ত হাসি,
সবুজ ক্ষনে, সবুজ মনে
দিনের শেষে, সর্ব জনে;
ক্ষেতি থেকে বাড়ি আসি।
ছোট্ট সবুজ, ধানের চারা
আমরা সবাই, কামিন সাথে
উপুড় চারা, নিয়ে হাতে;
আপন মনে, চারা বুনে--- দিশেহারা।
কর্দমাক্ত ক্লান্ত দেহে
চারার শেষে, ক্লান্তি এসে
আছি সবাই, ফলের আশে;
ফিরি মোরা আকাশ চেয়ে।
কৃষকের সেই নম্র দৃষ্টি--
শুষ্ক মেঘে, শান্ত মাঠে
মেয়ে শিশু, পথে ঘাঠে;
হয় আমোঘ ফলের সৃষ্টি।
সন্ধ্যাবেলায় গোধুলিক্ষনে---
মাঠে ঘাটে, বালক রাখাল
গরুর সাথে, হয়ে কাঙাল;
বাড়ি ফেরে আপন মনে।
দীর্ঘ স্বল্প দিনের পরে---
কার্ত্তিক শেষে আঘন বেশে
সোনালি ফসল, মিষ্টি হেসে
শান্তি হাসে কৃষকের ঘরে।
দুই চাকার ঐ গরুর গাড়ি---
কৃষকের মুখের--- ম্লান হাসি
সোনালি ফসল, রাশিরাশি;
বয়ে আনে তাড়াতাড়ি।
নীল মেঘের প্রফুল্ল হাসি---
চাষের শেষে, ধানের বেশে
মনের আনন্দে, সুখের দেশে;
জানাই আমরা পুরুলিয়ার চাষি।