খুব জমেছে আসর, সারাদিন ঘরের মধ্যেই
লুডো, দাবা, খাওয়া আরও কত কী!
পড়াশুনোটা বাদে সবাই আমরা খুশিতে
নাচানাচিতেও কম যায় না সীমা।
রবীন্দ্র সঙ্গীত থেকে শুরু করে নজরুল
এমনকি বর্তমানের নেহা কক্করের গানেও
তার অবাধ আসা যাওয়া।
রুনুঝুনু নুপুরে আমাদের বেশ এক আনন্দের
আসা যাওয়া, নতুন কিছু পাওয়া----
আর বইতে থাকা বাইরের সেই বিষাক্ত হাওয়া।

কাঁদা-কাঁদির দরজায় আজ তালা দিয়ে,
চাবি খুঁজে ফেরে অক্সিজেন, হ্যাঁ সিলিন্ডার---
গাছপালারও তেমন ঘাটতি নেই বসন্তে
খালি ফুসফুসের হাওয়া বসন্তের পথে যায়না।
হয়তো এই পৃথিবী অনেকেই চায় না।
তবু টিকে থাকার লড়াই চলছে দিবানিশি
হয়তো বেঁচে থাকা শ্বাস, কিম্বা অক্সিজেন- এক শিশি!


আমাদের গাঁয়ে আজও মাস্ক টাস্কের প্রয়োজন
পড়ে না। বুড়ো-বুড়িরা ফোফলা মুখে একগাল
হাসি দিয়ে বলে - ওসব আমাদের কিছছু করতে
পারবে না, আমরা হলাম গিয়ে নেতাজীর দেশের লোক।
বাচ্চারাও অবাধে খেলা করে মাঠে,
বাঁধে মাছ তুলে নিবির্কার খাওয়া চলে আমাদের
জঙ্গল থেকে পাতা কুড়িয়ে আনার দিন
ওই একই ভাবে আসছে আর যাচ্ছে এমন দেশে,
মনে হয় যেন এ এক অন্য দেশ, অন্য পৃথিবী---
যেখানে করোনার বিষ আছে বলে মনে নেই কারো।

হয়তো এখনও অক্সিজেন দরকার আরও!!!