আজকের এই দিনটি নিয়ে লিখব কি যে হায়!
লেখার আছে অনেক কিছুই লিখতে পারি নাই।

ভাবছি বসে লিখব আজ সেই, বীর মেয়েটির গল্প
যতটুকু পারি, যাহোক তাহোক, লিখব অল্পস্বল্প।
জন্ম তাহার পুরুলিয়াতেই প্রত্যন্ত এক গ্রামে;
ডাকতো সবাই ওরে অপূর্বা, কিম্বা অপু নামে।

বয়স যখন তেরো তাহার ক্লাস এইট-এ পড়ে--
মেতে উঠতো স্কুলটি তার মিষ্টি মধুর সুরে।
যেমনি শান্ত তেমনি নম্র, সৌন্দর্যের নবগুনে---
মুগ্ধ হতো বীরদের সে, বীরগাঁথা শুনে শুনে।

একদা তাহার বয়স আঠারো, কচি-কাঁচা তার মুখ--
কাঁচা দেহে তার কুঠারের মার, ভেঙে দিল যত সুখ।
মানুষ বলিনা, রক্ষসই হয়তো! জন চার-পাঁচ মিলে,
চাঁদের মতোই তাহার শরীরেও কলঙ্ক লেপে দিলে।

আইনের জোরে, শাস্তির ডোরে ঝোলাবে তাদের ভেবে,
লড়েছিল সে যে করেছিল কেস, প্রতিশোধ সে নেবে।
জানেনি তখনও বোঝেনি সে যে, রাজনীতি আর টাকা,
খুলে দিতে পারে মান-সম্মান, করে দিতে পারে ফাঁকা।

ধ্যাৎ!
লিখি ছাইপাঁশ মিটে না যে আশ, কিসব যে লিখি এসে!
আমি বলিনি, কে যেন বলেছে--
এখনও! মুক্তি সম্মান পায়নি মেয়েরা প্রজাতান্ত্রিক এ দেশে।