আজকের এই পৃথিবী বড় অচেনা মনে হয়,
আমি যেন মানুষ নই, অন্য কোন নক্ষত্র থেকে
আগত এক এলিয়েন!
যেখানে আছে স্পন্দন, সংঘর্ষ, গতি,
আরও আছে উদ্যম, চিন্তা, কাজ,
আছে অনন্ত আকাশ গ্রন্থি,
সূর্য, পৃথিবী, বৃহস্পতি, কালপুরুষ!
সবকিছু ভুলে আমাকে দৃষ্টি ফেরা তে হয়
রাতের আঁধার থেকে জেগে ওঠা প্রভাতের পানে।
শত-শত মানুষের চিৎকার সেখানে,
শত-শত প্রসুতির প্রসববেদনার আড়ম্বর;
এ যেন জীবনের ভয়াবহ আরতি!
গভীর আঁধারে ঘুমের আস্বাদে আমার আত্মা লালিত;
সেখান থেকে আমাকে কেন জাগাতে চাও?
হে সময়গ্রন্থি, হে অনন্ত লোক,
হে বসন্ত বিলোপের কোকিল,
হে স্মৃতি, হে বিস্মরণের হাওয়া,
কেন আমায় জাগাতে চাও
রাতের অন্ধকারের ঘুম থেকে?
নদীর ছলাত ছলাত শব্দে হয়তো জেগে উঠবো তবে
তাকিয়ে দেখবো না আর একাকি অপেক্ষমাণ
গ্রহণ লাগা চাঁদের পানে!
আজ তাই বৈতরণী থেকে সকল উচ্ছ্বাস গুটিয়ে নিয়েছি কীর্তিনাশার দিকে, যার বুকে গড়বো এমন এক কীর্তি
যা আগত দিনেও হবে বরণীয়, যার নাম
দেশপ্রেম, অচেনা পৃথিবীতে বাঁচার অঙ্গীকার।