চারিদিকে শরতের সমারোহ
কাশবন দোল খায়,
কখনো রৌদ্রের খর তাপ কখনো মেঘ
বৃষ্টি নামে অঝোর ধারায়।
দুই চোখ মুগ্ধ করে নদীর স্রোতধারা
আর পানকৌড়ির শ্বেত শুভ্র ডানা,
হিজল তমাল কদমের শীতল স্নিগ্ধ ছায়ায়
কত অনাবিল সুখ, ছিল তা অজানা।
তারই মাঝে খবর আসে নামবে বৃষ্টি
ধুয়ে মুছে যাবে শ্রাবণের রক্ত ক্ষরণ,
দুঃসহ যাতনা নিয়ে বিপ্লবের বাসনা নিয়ে
বাংলার জমিনে হলো শরৎ বরণ।
যখন দেখতে চাই চাঁদের আলো জ্যোৎস্না রাত,
বিরহের যন্ত্রণা হয় প্রকট ;
সন্তান হারা মায়ের কান্না পিতার শূন‍্য হৃদয়
গাংচিল পথ হারিয়ে এনেছে সংকট।
অনেক চাওয়া নক্ষত্রের কেন্দ্রে আটকা পড়ে আছে
বিস্ফোরণের অপেক্ষায়,
শরতের স্নিগ্ধতায় হৃদয়ে আশা জাগে
মঙ্গলময় আপন আলয় তারা যেন পায়।