কতটা বছর পড়াশোনার মাঝে
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাড় করলেও
কই? কোনদিন তো আমার ঘড়িতে
কারো ওড়না আটকালো না।
বই-খাতা কত জনকেই তো দিলাম
হ্যাডনোট আদান-প্রদান করলাম,
প্রয়োজনেই নিয়েছিল সবাই
কই? কেউ তো কোনদিন কিছু
লিখে দিলো না;
কোন দিনও না, কখনোই না।
এক্লাস থেকে ওক্লাস, এল্যাব থেকে ওল্যাব
কতই তো ছুটোছুটি করলাম,
তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে সিড়ি বেয়ে
উপরে উঠলাম নিচে নামলাম
কই? কোন দিন তো কেউ
গায়ের উপর পরলো না।
বিভিন্ন সময় ভীড়ের মধ্যে আটকেছি অনেক
গাড়িতে উঠার সময়,
নয়তো সরু পথে, গেটের ভাঁজে
ক্লাসের দরজায়, বেঞ্চের ফাঁকে
কই? কেউ তো কোনদিন
পায়ের উপর পা রেখে মুচকি হেসে
বললো না, সরি।
ক্লাস শেষে কতই তো অনেকের সাথে
একত্রে বের হলাম,
পিছন থেকে কেউ কোন দিন
একটি ডাক দিয়ে বলেনি
দাঁড়াও! তোমার সাথে একটু কথাছিল।
অথবা এমনটাও কেউ বলেনি
চলো, আজ আমরা দুজন
দূরে কোথাও ঘুরে আসি।।
এতোটা বছর পাড় করলেও
কোন দিন কারো প্রিয়জন হতে পারলাম না,
সবার প্রয়োজনই হয়ে থাকলাম।
তবে, কারো প্রিয়জন হতে হলে
প্রয়োজন হওয়া যাবে না,
অপ্রয়োজনেই তাকে সময় দিতে হয়
অপ্রয়োজনে পিছু ছুটলেই
তবে প্রিয়জন হওয়া যায়।
প্রিয়জন হওয়ার নেশায়ই কেবল
ঘড়িতে ওড়না আটকে রয়।

০৫/০৭/২৩