হলদে রঙের মাঠে মোদের সোনালী ধানে ভরা,
কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে দাম পেয়েছে চড়া।
পৌষে যাদের হয়নি ফসল চৈত্রে গেল তা পুষে,
বোরো ধানে মনের আনন্দে মাঠ যে আছে মিশে।
সুদে-ঋনী ছিলো কেহ কারো ছিলো ধার-দেনা,
কারো গোলায় ধান ছিলো না খোরাক লাগত কেনা।
হতাশ হয়ে সব কৃষক-চাষী রোপে বোরো ধান,
ফসল দেখে মনের আনন্দে গাইছে এবার গান।
আশা করে করলো রোপন ভরসা রাখে খোদার,
আল্লাহ তাদের আশা পুরাতে ভরিয়ে দিলো ঘর।
কষ্ট করিলেও কেষ্ট মিলেছে ঋন হয়েছে সব শোধ,
এবার যারা রোপেনি বোরো নিজে ভাবে নির্বোধ।
সবুজ ক্ষেতে তরমুজ মাঠে কত খুশির বন্যা বয়ে,
দুর্যোগ নিয়ে কেউ চিন্তায় ছিলো কৃষক সারাগাঁয়ে।
কোন বন্যা-বাদল হয়নি এবার হয়নি শিলাবৃষ্টি,
রহমতের ছোঁয়ার সাথে ছিল খোদার শুভ দৃষ্টি।
তরমুজ মাঠে বড় বড় ফল লাভের পাল্লাও ভারি,
আসছে পাইকার কিনছে তারা ভরছে মালের গাড়ি।
মুখ তুলেছে রবি-শস্যে ডালের ফলনও ভালো,
মুগডালে ক্ষেত ভরা আছে দেখতে কাজল কালো।
এবার মরিচ, বাদাম, আলু, ভুট্টা হয়নি কিছুই কম,
কৃষকের মুখে হাসির বন্যায় আটকে যাচ্ছে দম।
সোনার কৃষক সোনার ফসলে সোনালী হাসি মুখ,
অনেক বছরে পুষিয়ে উঠলো কাটলো বুঝি দুঃখ।
১৭/৪/২১