আমার কোন অহংকার নাই
অহংকারের সাথে বলি,
আমি অহংকার মুক্ত সর্বদাই
আমি চুপেচাপে পথ চলি।
সালাম দিলে কেউ মাথা দোলাই
আমার মুখে থাকে না রাও,
আমি অহংকার মুক্ত বলছি তো
আর কি কথা বলবো ফাও।

আরে ভাই বোঝেনই ত ব্যস্ত থাকি
সারাদিন কাজ আর কাজ,
কয়েক লক্ষ মাসিক আয় আছে
করার সুযোগ নাই সাজ।
পাবলিক পরিবহন গ্যাদারিং লাগে
ভালো লাগে না ঝুলে থাকা,
গাড়ি কিনেছি নোহা, একাই চলি
বাকি সব সিটই থাকে ফাঁকা।

আসলে কি ভাই গর্ব করে কি হয়!
একদিন তো যাবো মরে,
বাসায় দেখে আসেন লক্ষ দামের
ছোপা রয়েছে ঘরে পরে।
অর্থের গৌরব দেখাই না মোটেও
বাবা করেছে গভমেন্ট জব,
এই এলাকায় যত জমিজমা দেখি
বলতে গেলে মোদেরই সব।

আমার মন সাদাসিধাই রাখি সর্বদা
নাহি করি কোন হিসাব,
পাঁচশ-হাজারের নিচে নোট থাকে না
আসলে এটা বংশের স্বভাব।
কতজনে দেখি- রাখে অহংকার মনে
আমার কিন্তু মোটেও নাই,
আমার মত যদি ওদেরও থাকতো
ওরা তুলতো অহংকারের হাঁই।

বাবার পরিচয় দিয়ে চলি না আমি
বাবার পরিচয় থাক বাদ,
টাকার কুমির আমি ব্যবসায় সফল
আমার কিন্তু উচ্চ বংশের জাত।
নিম্নমুখী তাকানোর সুযোগ কই বলেন
গায়ে গতরে দেখি শুধু ধূলা,
আসলেই আমার মনে অহংকার নাই
পছন্দও করি না ওই গুলা।

উঁচু-নিচু ভেদাভেদ মোটেও বুঝি না
গরীবকে করে থাকি দান,
কেউ যদি চায় তাদের সহায়তায়
তবে চেষ্টা করি আপ্রাণ।
কি আর করবো বোঝেনই তো ভাই!
আমার আছে তাদের নাই,
দেই তাদেরকে বলি কখনো মুখে
সবাই তো মোরা ভাই ভাই।

অনেক কামাই বলিনা কখনো নাই
আপনার লাগলেও বলেন,
কথা হলো অনেক আছে তো বিবেক
চা পানে একটু চলেন।
আরে না ভাই কিসের বিল দিবেন!
জানেন তো আমার কামাই,
কি আর খেলেন শুধুই শত-পাঁচেক!
তবে বিলটা আমিই দেই।

ক'টাকা নিয়ে এলেন লাগতে পারে
রাখেন আপনার পকেটে,
আপনাদের আবার আয়ই বা কত!
চলছেন তো মাঠেই খেটে।
জানেন তো ভাই আছে ভুরিভুরি
মাল্টিন্যাশনাল ব্যবসাও করি,
নিজের গর্ব কখনো করি না নিজে
হইতে চাই না অহংকারী।

১০/৪/২১
আলেকান্দা, বরিশাল।