তাহারা আমার অচেনা,
আমার অজানা
শত বছর আগে,
এই একফালি ভূমিতে,
বাস করিয়াছে কে
ছিল বা কাহার বাগে।
আমার পূর্ব পুরুষ,
যেথায় হইয়াছে মানুষ
এই জমিটি চষে,
কারো নাই অধিকার,
তাহার প্রতি আর
আজকে আমার বশে।
যেথায় করি চাষ,
বানাইয়া নিবাস
ছিল না তো মোর,
গরিয়া আপন বাড়ি,
লইয়া নুতন গাড়ি
পুশিয়াছি কবুতর।
আজি ভাবি তাই,
সুখের অন্ত নাই
এভাবেই যাবে দিন,
পরক্ষনেই দেখি,
হইলো রে একি
ক্ষয়ে হইতেছি বিলীন।
যুবক কালের কথা,
ভাবিয়া পাই ব্যথা
কোথায় গেলো সেই বল,
তুলিতে সেই লাঠী,
হাত মোর ওঠে কাপি
আঁখিতে ঝরে জল।
সকালের রোদে ,
খাটো হইতেছে
আপনার প্রতিচ্ছায়া,
বাপ ঠাকুদা র পথে,
চড়িতেছি সেই রথে
যে রথের নাই পায়া।
আমার চলি যাওয়ার পরে,
নুতন কোনো শরীর ধরে
আসিবে কেউ ভবে,
পরিবর্তন করি মালিকানা,
বুঝিয়া নিবে ষোলআনা
নিজেই মালিক হবে।
এভাবেই জন্মান্তরে,
একশত বৎসর পড়ে
কে করিবে চাষ,
মিশিয়া যাবো আমি,
রহিবে তবু সেই ভূমি
যেথায় পূর্বপুরুষের বাস।
_____-------_____
Date-
27/09/2024
__&&&__
বিঃদ্রঃ -
এই কবিতাটি আমার বাসভূমি টি কার ছিল, কার বা হবে এই চিন্তাধারার উপর লেখা।
কেননা মানুষ তো মরণশীল, যতই আঁকড়ে ধরে থাকো ছেড়ে তোমায় দিতেই হবে, এটা চিরন্তন সত্য।