নিশী মামা সবার প্রিয়
এই সমাজের ভিড়ে,
যে সমাজে রোজ সন্ধ্যায়
অমৃত সেবন করে।
আসর পেতে বসে সবাই
সঙ্গে নিয়ে চাকনি,
কেউ নিয়ে যায় পোলটির ঠ্যাং
কেউ বা মুড়ি ঘুগনি।
নিজের বাড়ি গড়েছে স্বর্গ
নিজে হয় দেবরাজ,
সেবন করে অমৃত সুধা
শুধু নাই নর্তকীর সাজ।
উদার মনে বিলায় রেশন
সারা আঙিনা জুড়ে,
কেহ আবার ফ্রীতে খায়
নরম নরম সুরে।
কে কেমন দেয় নগদে
হিসেব যায় ভুলে,
বাকির কথা বললে মুখে
অমনি ওঠে জ্বলে।
হুংকার টা এমন তাহার
যেন বজ্র পাত,
চোখের সামনে বারিয়া খায়
তরকারি আর ভাত।
মনটি বড় নিশী মামার
এমন কথা বলে,
কেহ কেহ এই আস্ত্রেই
নিশী মামাকে ছলে।
নিশী মামার চরিত্র খানা
নাই কাহারো নকল,
যেমন রাগে অমৃতের তেজে
তেমনই হয় জল।
কেহ নাই তার এই সংসারে
মামা মামী দুজন,
ঝগড়া বাঁধলে দুজনাতে
মেটায় আত্মীয় স্বজন।
অনেক খুশি নিশী মামা
নাই চিন্তা নাই ভাবনা,
সকাল দুপুর খোঁজে ফেরে
নিত্য নতুন চাকনা।
ইদুর, ধারেয়া, পাখি পায়াল
শামুক, গুগলি আরও,
সব কিছুতে রুচি সমান
যাহাই দিতে পারো।
নিজে খায় অল্প একটু
রাখে তাদের জন্য,
যাদের খাওয়াতে খাওয়াতে
নিশী মামা ধন্য।
আমি শুধু ভাবি মনে
কী এর পরিণতি,
শেষ বয়সে না হয় যেন
নিশী মামার দুর্গতি।।
___-----___
Date-
22/10/2024
___&&&___