কিছুক্ষণ থেকে থেকে আবার শেষবার
যখন রৌদ্র নেমে যায়, গোধুলীর ঘোমটা শিরে নিয়ে!
তখন, বিকেলবেলা হয়তো করে অভিমান!
রৌদ্রতাপ থেকে কয়ালরাত্রী, খেলে!
এইখানে, ভয়ঙ্কর রাত নেমে এলে,
রাত্রিপেঁচা হয়তো শিকারের করে আয়োজন।
বিকেলের ক্লান্ত ঝিঁঝিঁ পোকারা নেমে গেলে,
রাতের অন্ধকারে তখনি হয়তো
আবার জোঁনাক জ্বলে, লেবুঝাড়টার ওদিকে, কোনায় কোনায়।
হয়তো তখন, তুমি!
চুলে সুগন্ধি তেলে বেনী পাঁকো, তোমারই সখিনীর সাথে,
অথবা পড়ার টেবিলে অযথাই ভাবো আমায়, মন দিয়ে
তখন আমি হয়তো আর কাছে নেই তোমার,
চলে গেছি বহু ক্রোশ দূরে, কোন এক দিগন্ত বিস্তৃত অন্ধকার রাতে।
পাশে হয়তো আমার, কিছু জ্বলজ্বলে টগবগে প্রান অগ্রজ্ঞান করে।
চারিদিকে হয়তো গুলির শব্দ, আর কিছু পরে হয়তো
মোদেরও যেতে হবে মেশিনগান হাতে।
হয়তোবা কুকুর ডাকে, ওদের মনে নেইকো কোনো ভয়
গুলির শব্দ, মেশিনগান, ওদের কাছে তুচ্ছ!
কিছুবা রাতের পাখি হাওয়ায় করে কিচিরমিচির,
শব্দে তাঁদের গানে কোনো ব্যাঘাত হয়না হয়তো।
মেশিনগান-কুকুর-পাখি-শেয়ালের ডাকে যেন,
ভয়াল থমথমে এক পরিবেশ বিরাজ করছে তখন!
হয়তো ডাক এসেছে! এখুনি বেরুতে হবে, পশ্চিম পাড়ার
কালভার্ট দিয়ে যেন কোনমতেই হানারা হানা না দেয়
রুখতে হবে তাঁদের! গোলা-বারুদ প্রস্তুত হলে,
আমাদের ভিতসন্ত্রস্ত গর্বিত মুখ গুলো হয়তো স্মরণ করে নেয়,
আপনজন হারানো ব্যাথার থেকে দেশমাতা বড়।
শান্তি কিসে? শুধুই যপ করে যাই রবের,
প্রানপ্রিয় এ মাতৃভূমির সম্ভ্রম রক্ষায় নিজের প্রান দিতেও প্রস্তুত
কিছু অগণিত যুবক, কিছু নারী, কিছু বৃদ্ধ, কিছু কৃষক-মজুর-মুটে,
কিছু পাইলট, সর্বোপরি কিছু অসংখ্য কিংবদন্তী গর্বিত প্রান।
তাদের তরে আমি, তাঁরা হয়ে,
এই নবীন হৃদয়, এ দুঃখিত প্রান!
বেঁধে যাই ব্যথামালা, গেয়ে যাই গান।
==============
২১/০৮/২০১৭
ধানমন্ডি ১৫, ঢাকা-১২০৯