আমি ধুমকেতুর মতো আছড়ে পড়েছিলাম
পৃথিবীর বুকে ,
সরিসৃপ এর মতো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে,
পড়েছিলাম হিংস্রতার প্রথম পাঠ।
বর্বরতা থেকে,
নৃশংসতার চরমে উঠে
তান্ডব রাগে গেয়েছিলাম প্রলয়ের গান,
স্বাগত জানিয়েছিলাম আনিবার্য ধ্বংস কে।
মনে মনে ঘষাঘষি তে সৃষ্ট দাবানল হয়ে
আমি জগত পুড়িয়েছিলাম বহুবার ,
আগুন দিয়েছিলাম সবুজ কতকগুলো প্রানে,
মিটিয়েছিলাম যৌবনের যৌলুস।
সময়টা তখন মধ্যাহ্ন,
আর আমি,
আমি ছাতিফাটার মাঠ হয়ে পুড়িয়ে মেরেছিলাম
আমার বক্ষে পদাচরন রত প্রত্যেক পথিককে,তিলে তিলে
তাদের বুক থেকে নিঙড়ে নিয়েছিলাম তৃষ্ণা আর জঠরের শেষ ক্ষুধাটুকু।
তাদের গোঙ্গানি মিশ্রিত চাপা আর্তনাদ আমাকে ক্ষান্ত করতে পারেনি,
পারেনি আমার বিবেক দংশী বোধটুকু,
হিনমন্যতায় ভুগিনি কোনোদিন,
কারন সময়টা ছিল মধ্যাহ্ন।
এখন সায়াহ্ন,
নিরুপায় নলখাগড়ার মতো আধো জলে আধো ডাঙ্গাতে তে
মৃত্যুর অপেক্ষারত আমি
মৃতদেহের সৎকার দেখেছি একমনে।
গিজগিজ করে উঠেছে আমার সমস্ত শরীর,
কিলবিল করে উঠেছে আমার বিকৃত মস্তিষ্কের নিকৃষ্টতম কীট গুলো,
সুর্যের আলোতে।
অস্তাচলের কৃপাদৃষ্টি যখন পড়েছে,
প্রনাম জানিয়েছি বহুবার,
জড়িয়ে ধরেছি পদযুগ
আর বলেছি " আমাকে মুক্তি দাও,
মুক্তি দাও এই আলো থেকে,
ঝলসে গেছে আমার দুটি চোখ,
আমি তো
পাপী ছিলাম,
বর্বর ছিলাম,
ছিলাম নৃশংস,
অন্ধকার কি আমার পরিনতি নয়?"
নিস্তব্ধ চারিদিক,
উত্তর মিলল না কিছু ,
নামল না অন্ধকার কোনোমতে,
অসহায় আমি লুটিয়ে পড়লাম মাটিতে,
দুঃসহ নরকযন্ত্রণাটা ততক্ষনে শুরু হয়েছে আবার।
24/05/2016