মেঘের ভাঁজে ভাঁজে উড়ে যায় নীলাভ বিহঙ্গ
দেহের প্রতিটি পালকে নিভে যাওয়া প্রদীপ
পেঁছন রেখে যায় তারা পোড়া নিঃশ্বাস
অঝরে বৃষ্টি ঝরে, তরতাজা রঙধনু
পৃথিবীর আনাচ কানাচ আনন্দের শিখা
দেহে তার অজস্র অনাগতের ভীড়
যেখানে সেখানে ভূমিষ্ঠের স্নিগ্ধ ঘ্রাণ !
মহাকাল আকাশচুম্বী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে
কোথায় কার ঘর পুড়বে অনলে ?
ভূমিষ্ঠ হবে অজস্র সাদা গোলাপ
নিষ্পাপ দেহে বিষাক্ত পরাগায়ন নেই তো !
মহাকাল পৃথিবীর কোণে কোণে খুঁজে দিশেহারা
চারদিকে আলো, সাদা পাপড়িতে সাজানো স্বচ্ছ জীবন
কোথাও আঁধার নেই, অনাগত পৃথিবী নিশ্চিত সুন্দর
মহাকাল নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে, তার স্বপ্নে সুঘ্রাণ।
অতঃপর আবারও সে জেগে ওঠে ভূমিষ্ঠের খবরে
আবারও বেরিয়ে পড়ে আকাশচুম্বী নিয়ে
সে ভুলে যায় বিগত ইতিহাস ।
সেখানে ছিল কিছু বিষাক্ত পরাগায়ন
আলোর মুখোশ পরে পৃথিবীর সর্বনাশ ।
মহাকাল বড্ডই বোকা, সে এখনো বুঝতে শেখেনি
আমরা মুখোশধারী রাগ, হিংস্র রমক
আমরা আসবো এভাবে জনম জনম
মহাকালকে ধোঁকা দিয়ে, তার স্বপ্নের আঁড়ালে দুঃস্বপ্ন হয়ে
জেনে রাখো, আমরা বিনে পৃথিবী আধেক, আমরাই তার পূর্ণতা।