এভাবে বিপরীতে মিলিয়ে গেল প্রতিটি শব্দ, দাঁড়ি-কমা
ওরা বলে নি আমাকে এত্তসব লিখে যেতে
কিন্তু এ ছিল আমার অপ্রস্তুত নেশা, ছিল রক্তে তপ্ত পিপাসা !
যোজন যোজন পেরিয়ে আসা অনিয়মের নিয়ম
নিঃশেষের সুর কী তবে বাজবে অত নিকটে !
সময়ের ভরাডুবি সময়ে পেয়েছে যৌবন
এ তো আমার অপরাধ নয়- সময়ের সঙ্গদোষ !
আসমান ছোঁয়ার রক্ত দালান ছিল সেই লেখায়
ছিলো প্রতিটি গাঁথুনিতে তারুণ্যের জয়োল্লাস
বাহারি রঙের বৃষ্টিস্নাত ঝলমলে নক্ষত্র জেগে থাকা
ডুবে যাওয়া তরীর ভেসে উঠার কাঁপানো ইতিহাস
ছিল আলোয় ঝলমলে আঁধারের নির্লজ্জ সর্বনাশ ।
আরও ছিল শত হৃদয়ের অকালের খুন- নিশাচরের অমোঘ ঘোরাফেরা
ছিল বিংশ শতাব্দীয় স্মৃতির অবর্ণনীয় অধ্যায় মোড়ানো রক্তিম খাঁচা ।
এইতো হঠাৎ একদিন, সেই লিখে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো
কালিগুলো নিজেকে চুষে বিপরীতে কেঁদেকেটে ছুটে চললো
এভাবে একের পর এক পৃষ্ঠাগুলো মসৃণে ওম খুঁজে পেলো
আমার জমে যাওয়া নয়ন দু'টো শুধু বলেছে- অনেক তো হলো !
অবাধ্যেও পারি নি সেই মসৃণে আবারও এক ফোঁটা কালিমা এঁকে দিতে ।
অবশেষে পৃষ্ঠাগুলো মসৃণে ওম খুঁজতে খুঁজতে-
সেই যোজনে গড়ে উঠা রক্ত দালান অবলীলায় আলোয় মিলিয়ে গেলো !
ওরা বলে, এখানে কোন দালান ছিল না ।
কিন্তু আমি তখনো দেখেছি-
অন্য কেউ ভীষণ মায়ায় লিখে চলেছে তার রক্ত দালান !