একটি রৈখিক গল্প নিয়ে হেঁটে চলেছি এলোমেলোয়
সেদিকে- তোমরা যেখানটায় বলো নিঃশব্দে বিলীন ।
আমি বলিনি- পৃষ্ঠের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে,
যেন ঢুকে গেছে- না পাওয়ার শেষটুকু ।
আমি বলিনি- যার জন্য কেঁদেকেটে হয়েছে,
বিভাজিত কিছু সময়- অপূরণীয় বিবর্জিত ।
শব্দহীন বাঁধ ভেঙ্গে গেলে-
এখনো তা বেখেয়ালেই সজাগ হয়ে যায়
সেখানে নাকি বহুরূপী সুখ বাসা বেঁধেছে ।
বিষণ্ণ রক্তকণিকাগুলো নীরস নয়নে ছুটে চলে
তারা জানে- তারা অভ্যস্ত হয়েছে ভীষণরকম ।
সংকল্পের সকল ভেসে যাওয়া আজও ডাকে
তারা জানে আমি সমুদ্রের কিনারে একলা হাঁটি
আমার ভীষণ ভয়- তাই এখনো পারিনি ভেসে যেতে ।
সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদে নিরপরাধ হৃদয় রাত্রি কাটায়
সে আঁধার, সে আলো- সকলি এখানে সমধিকারে
দেখেনি তো তাদের কবে আসা-যাওয়া
এখানে তো শুধু শেষের কালো কাঁদে হাহাকারে ।
আমায় নিয়ে চলছে যে নৌকো
তার রয়েছে ফুটো হাজারো
তবুও চলছে সে জল কামড়িয়ে ।
আমি বলেছিলাম, বিলীন হয়ে যাও
সে নিঃশব্দ, সে নীরব, সে ঘোর ।