কিছু অসংলগ্ন দৃষ্টির কাঁটাতারে পা কেটে এখন হয়েছি খুব ঘরমুখো
এসেছিলে তুমি রাত্রির নক্ষত্র রূপে তাই হতে পারি নি একটি স্নিগ্ধ ভোর
সেই রাত, সেই কুকুরের নির্ঘুম, সেই ঝিঁঝিঁপোকা, সেই বন্য ঘ্রাণমাখা ;
বৃক্ষ জড়িয়ে বিষণ্ণ গুল্মের বেয়ে উঠাও তো সেই রাত্রিতে হয়েছিলো নীরবে
জানো ! সেই বেয়ে উঠায় সুখ ছিল, প্রতিটি গুটিগুটি স্পর্শে শীতল ঝরনা
সেই অবগাহন ভোলার নয়, বৃত্তে বন্দী শ্বাস পেয়েছিল এক অজানা শূন্যতা !
ক্ষণজন্মা ইতিহাসের বুক ঝলসে অবিন্যস্ত মেঘগুচ্ছের দিকভ্রান্ত ছুটাছুটি-
অমরত্বের স্বাদ পাওয়া নীলাভকে লুকাতে নিত্যি কিছু ভুলের মাশুল গোণা
আহা ! সাদা পৃষ্ঠা কিংবা ছাইরঙা ! তুমি তো শুধু হয়েছো প্রাকৃতিক ছন্দের ভুল
কিন্তু এরও আগে অমর হয়ে গেছে একজন কারিগরের ভুলে বোনা নীল আকাশ !
প্রিয় মেঘগুচ্ছ, তুমি কী জানো ?
ছয় দেয়ালের এক অদৃশ্য সদরবিহীন ঘরে আজ সেই কারিগর বন্দী
তার সকল কারিগরিক যন্ত্রাংশে জং ধরছে ধ্বংসের অব্যক্ত স্বপ্নে
কেড়ে নেয়া হয়েছে ঘর বানানোর সকল অধিকার শেষ কীর্তির বিতর্কে ।
প্রিয় মেঘ,
তোমার শ্রমের সান্নিধ্যে আমি ঋণী, করে চলেছো অবিরত দ্বিধাহীন
তোমার খসে পড়ার নির্মাণ কারিগরিত্বে মুগ্ধ এই অপরিস্ফুট দু'নয়ন
সত্যই তুমি শুদ্ধ অশ্রু কারিগর, পেশাদারিত্বে প্রকৃতি এক চিমটিও ভুল করে নি !!