গভীর নিশার নিদ্রা ভাঙ্গিয়া, স্বপ্ন হইল সার !
পশ্চিম দুয়ারী জানালাটার ,খুলিয়া দিলাম দ্বার।
পুবের শশী হেলিয়া পড়িছে,পশ্চিম দুয়ারে তার
হেলানো বিধুর জোত্স্না প্রাতে,কি জানি অভিসার।
গাছের ছাঁয়ায় লতায় পাতায়,পবনে বহিছে ভার
শশী যামিনী মিলিয়া তাহারা,খুলিয়াছে পারাপার।
বিধুর শোকে জ্বলিয়া তাহার,ধূপের অন্ধকার
পশ্চিম দুয়ারী জানলাটার, খুলিয়া দিলাম দ্বার।
অন্তরীক্ষের ছুঁটিয়া গেছে, সকল শোকের দ্বার!
শোকের ছাঁয়া ধীরে বহিয়া,যামিনী হইয়াছে ভার।
দিবসে যেবা পুড়িয়া মরে, রবির করুণ দাহে
অন্তরীক্ষেই লুকাইয়া রাখে, আপন বেদনারে!
যামিনী আসিয়া টানিয়া তুলে,পুবের সুধাকরে
কি যাতনায় দহিয়াছে তব, দিবস প্রভাকরে।
এমনি করিয়া শোক বন্দনায়, ঘনিছে আলোক ভালো
ধীরে বহিয়া চলিয়া যাহিছে,নিশিতের যত কালো।
সবিতা আসিয়া শোধাইল তাহে, আলোক দিবে ভালো
আপন দ্রোহে দহিব তাহে,রচিবে শোক কালো।
যামিনী মাঝে প্রকাশিবে, মম আছে যত শোক কালো
চির জনমের বন্ধু আমার বাস কত মোরে ভালো!