লাশকাটা ঘর-শিশির ভেজা কনকনে শীতের রাত্তির ;
মস্যাধার ক্ষীণ জ্যোতি-ঝিঝিপোকার ডাক-ঝলমলে আলো জোনাকির-
নারী না ঈশ্বরী?
দক্ষিনের খাল পাড়ে তানুবিবির ছোট্টো বাড়ি;
বাপ মরা একমাত্র মেয়েটার পড়নে লাল পাড় শাদা শাড়ি-
যৌবনের মহাসঙ্গীতের আঙিনায় যে পা ফেলেছে-সে তো এখন নারী।

ঐখানে-ঐ জঙ্গলার ধারে-
লালসা ভরা রক্তিম চোখে-ওত পেতে বসে
একদল শকুন খাল পাড়ে-
মিহিন কষ্টের আওয়াজ-আর্তচিৎকার কানে আসে,আসে নীড়ে।
আমি দেখেছি-
নগ্ন নারীর বক্ষ:স্থল খুবলে খাচ্ছে-মাংসের গন্ধে উন্মাদ  নরপশু,
কিন্তু কতক্ষণে?
এক যোনি একশো পশুর খোরাক যোগাবে যতক্ষণে?

এ- নারী না ঈশ্বরী?
খাটুলিতে বসে ঋষি মশাই আফিমের ঘ্রাণে ম-ম কুঠরী,
তিনি শুধাইলেন বৎস _"যাহা নারী তাহাই ঈশ্বরী "।
মানুষের মতো হুবহু তবু মানুষ নয়-
অবিশ্বাসী চেতনার প্রতিফল বুকে রয়;
বিশ্বাসের অশ্রু টলমল চোখে-
বিশ্বাসহীনতার এক কবর থেকে আমি উঠে এসেছি-
তোমরা আমার একটা নাম দিবে কি?

একদিন-
প্রকৃতির মধুর প্রতিশোধের আহ্বানের দিন,
লাশকাটা ঘরে বন্ধ জানালার শিক ধরে;
চেয়ে দেখি-
আত্নমগ্ন ঋষি মাশাই এর বিমূর্ষ আত্মা অমরত্ব লাভ করে।