কতো বসন্ত এলো গেল,
সেই বসন্তের স্বাদ আর নেই।
মনে পড়ে ‘মধুমিতা’?
তুমি এসেছিলে -
হলদে শাড়ি,খোঁপায় গাঁদা ফুল;
সেই হলুদ গাঁদার গন্ধে মুগ্ধ আমি-
বসে বটতলায়।
মুখরিত চারিদিক চারিধার,
পলক ফেলিবার যে ছিল না সময়।
কৃষ্ণচূড়ার রাঙা গোধূলিতে
হাতে হাত, চোখে চোখ;
অন্তঃকরণের একাগ্রতা'তেই,
স্বার্থকতা খুজে পেয়েছিলো- একটি বসন্তের বিকেল।
কতো বসন্ত এলো গেল
সেই কৃষ্ণচূড়ায় এখন রঙ নেই, প্রেম নেই।
আজি ফের বসন্ত-
সেই বটতলায় বসে আমি,
সেই মুখরিত চারিদিক চারিধার,
কোলাহলে আকাশ ফেটে পড়ছে।
নেই কোন নিস্তব্ধতা।
তবু কেন মন খারাপ?
যেন কিছু একটা নেই,
কিসের যেন অভাব!
হাহাকার চারিদিক চারিধার,নিকষ কালো মেঘের স্বরে গর্জন,
কোলাহল-
আর্তনাতের সুরে কানে বাজে।
নিস্তব্ধ অন্তঃকরণে বসে বটতলায়- ভাবতে থাকি,
আচ্ছা,কি নেই আজ বসন্তে?
-‘মধুমিতার’ঐ হরিণি চোখের চাওনি নয় তো!