প্রত্যুষের যে ভরা প্লাবন গোধুলীর আগেই দিগন্তে মেলায়,
তার পানে চেয়ে কেনো কেটে যায় অযুত বছর?
সহস্রাব্দের অশ্বত্থের জনমও কি এমন অনন্ত অপেক্ষায় ফুরোয়?
ক্ষনিকের যে বান ডেকে উঠে হঠাৎ-
ভাটীর টানে হয় নিশ্চিহ্ন!
সেকি কেবলি ভ্রম?
দুটি বিহগের আড়ি করার সেই গোধুলী মাখা প্রত্যক্ষদর্শীও পশ্চিমে নিশ্চিহ্ন হয় ক্লান্ত হয়ে।
তারপর তমসাচ্ছন্ন নীরবতা।
গ্রাস করে নেয় সকল শব্দ, সকল কথা।
যে চিঠিতে লেখা হয়েছিল প্রণয়ের বার্তা,
তার খোঁজে ডাকপিয়ন এসে ফিরে চলে যায়।
হৃদয়েরর রক্তে স্নাত হয়েছে তা।
এক সমুদ্র যন্ত্রণা গিলে খেতে গিয়ে, গলায় আটকে ঠিক যখন তার প্রাণ ভোমরাটা বের হয়ে যাবে;
তখন সে প্রেমিক রোজ শ্মশানে মরা নদীর ঘাটে বসে থাকবে তেপান্তরের পানে চেয়ে?
যখন সূর্য অস্ত যাবে! সব শালিকেরা ঘরে ফিরে যাবে!
তবু সে একাকী চেয়ে রবে কার পানে?
প্রেয়সীর চোখের জল তবুও কি মুছিয়ে দেবে সে?
শিমুলের মতো রক্তিম দুটো গাল তবু কি সে দুহাতে আঁকড়ে চোখের পরে শীতল চুম্বন এঁকে দেবে না?
শিমুলের সে শাখী পেছনে ফেলে;
ক্রোশ ক্রোশ পথ মাড়িয়ে তবু-
অভিমানী দুটি শালিক মুখ ঘুরিয়ে রয়।
সব কথা; সব পথ ফুরোয় তবু অপেক্ষায় রয় কালজীর্ণ শ্মশান।
যার এক কোনে চারা গাছের তলে এক জোড়া ভাঙা শাখা করে ওঠে হাহাকার!
তুমি কি শুনতে পাওনি সেদিনও তার আত্ম চিৎকার?