হঠাৎ প্রচণ্ড প্রেম পেলো তোমার!
জিতে নেবার ইচ্ছে হলো স্রোতস্বীনিকে।
তুমি জানতে সে সবার মাঝে অনন্যা।
তাই তোমার চাই তাকেই!
হয়তো নিজেই নিজেকে দর্প ছুড়েছিলে!
আমায় জেরবার করে দিয়েছিলে ভালোবাসার জন্য।
একসময় বাধ্য হয়েই তোমায় ভালোবেসে ফেললাম!
আমায় তুমি কেড়ে নিলে আমার থেকে,
চেয়ে নিলে আমার এক জীবন।
একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলে আমরন।
খুজে নিয়ে চিত্রার বুকে অচেনা কোনো চর;
কথা দিলে বানাবে সাধের ঘর।
বলছিলে চরের কাঁদা লাগতে দেবে না গায়।
আমি হবো স্বচ্ছ জল!
সবটুকু অমৃত সূধা আমারে দিয়ে,
তুমি পান করে নেবে হলাহল!
ছায়ার মতো রবে দুনিয়ার সবখানে!
চিৎকারিয়ে সবারে কবে তুমি আমাকে, আমাকে, শুধু আমাকেই ভালোবাসো।
আমারে বানায়ে শরীরের বল্কল, ডুবে গেছ আমাতে!
হৃদয়ের শক্তির করে আরাধন; একসাথে চাও বাঁচতে।
সঁপে দিলাম নিজেকে!
তারপর-
জিতে গেলে তুমি। শেষ হলো খেলা।
ফুরোলো তোমার প্রেম।
ভেঙে পরল মিথ্যের পাহাড়।
খুলে গেলো আলগা আগল!
ছিন্ন হলো মিছে যুগল!
জানিয়ে দিলে অকপটে-
সব ছিল তোমার ভুল; খেয়ালের বশে।
শেষ স্মৃতিটুকুও ভুলে; হঠাৎ হারিয়ে গেলে।
হয়তো মায়ার নয়! শুধু কায়ারই পাগল ছিলে!!
তুমি নাকি আমার ভালো চাও।
শুধোলাম, আমায় চাও না?
নিরুত্তর তুমি।
আজ তোমার আকাশ ঢাকা থাকে জোছনার চাদরে।
হৃদয় ভরে প্রেয়সীর কোমল আদরে।
তোমার ঘরে তেরো পার্বণের ছটা।
উঠোন ভরা হেমন্তের ধান।
আমার উষর জমি ভীষণ নিষ্প্রাণ!
মধু মালতী শুকিয়ে গিয়েছে, হারিয়ে গিয়েছে ঘ্রাণ!
সাধের সেই চরে একা ফেলে মোরে;
হঠাৎ সাঝের বেলা তুমি ফিরে গেলে নীড়ে।
চারিদিকে জল থৈ থৈ!
জানিনা সন্তরণ! আমি যাই কই?
বুঝলাম এসে শেষ কালে,
আমি চিরকালই ঠকে যাওয়াদের দলে।
ভুলে যাই সব ছলে!
তবু প্রশান্তি থাকে নিজের; ঠাকাইনিতো কাউকে।
তুমি কিভাবে দাড়াও আয়নার সমূখে?
যত প্রেম তুমি দিয়েছ মোরে,
বিধাতা সব দ্বিগুণ করে ফিরায়ে দিক তোমারে।