ও চাঁদ, তোমার প্রহর কাটে একাকী প্রতীক্ষায়!
স্রোতস্বীনিরও বুক ফাটে দারুণ তিয়াসায়।
তোমার ভরাট যৌবন চুইয়ে চুইয়ে পড়ে,
ব্রহ্মাণ্ডরে ভাসিয়ে নেয় চান্নি-পসর প্লাবনে।
জোছনার সেই তাবুর তলে ;
এক অবসাদগ্রস্ত প্রেমিক! তবু সে;
বকুলের মালা জড়ায়ে দেয় প্রেয়সীর খোপায়।
মাতাল করা জোছনা আর মধুগন্ধার ঝাঁঝ,
এক গভীর মাদকতায় ভরিয়ে তোলে প্রাণ।
দারুণ উন্মত্ততা করে নেয় গ্রাস।
মাটির গভীরে লাঙ্গলের ফালে;
জন্ম দেয় নতুন ফসলের।
হঠাৎ মগডালের পতত্রী নেমে এসে চুপিচুপি ;-
দিয়ে যায় সভ্যতার পূর্বাভাস।
আমার মন কাঁদে সেই প্রিয়তমের তরে!
যারে ফেলে এসেছি বাবলার বনে,
অযুত বছর আগে।
পৃথিবীর সেই সব সভ্যতা কোথায় হারায়?
কোথায় মিলায় সেই আদী প্রাণেরা?
বহুদূর পথ পাড়ি দেবার কথা যে নাবিকের
ক্লান্ত করে তোলে তারে একঘেয়ে জীবনের ভার।
হঠাৎ মৃদু হাওয়ায় চিড় ধরে তার তেজী পালে!
জমে আছে কোন ক্ষত জামার বোতামের তলে!?