কাবেরী যখন খুব করে চাইছে তোমাকে,
তুমি তখন রোজ অন্য কারো বুকে; মুখ লুকিয়ে সুখে!
কাটাচ্ছ রাত-ভোর।
উন্মত্ত অধর, স্ফীত পয়োধর!
শরীরে শরীরে; মুছে ফেলে ব্যবধান;
চাইছ আরো, আরো দৃঢ় হোক আলিঙ্গন।
কাবেরী রাতভর যপছে তোমায় এক মনে,
তোমার মাতাল ঘোড়া তুলছে তুফান অন্য কোনো খানে।
তোমার পাল খোলা তরী-
যাচ্ছে ভেসে ঢেউয়ের তোড়ে।
অন্য কোন নদী!
লবনাক্ত চরায় মুখ গুজে;
করছো স্বাদের আস্বাদন।
হাতরে ফিরে উজান ভাটি,
নোঙর তুলে বাঁধছ ঘাটি।
সাজানো সুরলোকে করে বসবাস
শেখাও তারে- একা থাকো! মুছে ফেলো আশ!
ধরার পরে কোথাও নেই যার স্বীকৃতি,
সকড়ি পরশন করেছে যারে হীন!
রেখেছ নাকি তারে পরানের গহীন!
তোমার সকল হাসি-গান আর উৎসবে যে শুধুই অগন্তুক,
মিথ্যা আশায় তবু তার ভরাতে চেয়েছ বুক।
বুঝাতে চেয়েছো তারে, করোনি প্রবঞ্চনা।
তারেই নাকি স্মরণ করো তুমি প্রতিক্ষণ!
ওসব নাকি কিছুই না!
তুমিই তবে বলে দাও, প্রতারণার সঙ্গা!