ক্ষয়ে যাক সব স্মৃতি মন থেকে; বেড়ে চলুক অমর্ষ।
ফেলে আসা দিনের স্মরণে, হৃদয় যেনো আর না হয় বিমর্ষ।
বিরাগ ছড়িয়ে যাক অস্থিমজ্জায়!
সেই প্রেমিকের তরে বারুক অরুচি।
চোখের সামনে তার তিনবার দাহ হোক না!
তবু যেনো তারে না করি মার্জনা।।
কত যত্নের কবিতার খাতা যে ছিড়ে ফেলেছিল নিঃসংকোচে!
সে যেনো কবিতায় না আসে আর কোনদিন।
স্বপ্ন দেখিয়ে একদিন;
সব কিছু করে গেছে অস্বীকার; দিয়ে গেছে প্রবঞ্চনা!
পোড়া মন কি তবু জানে না?
চিরকালই রয় সে বেইমান, একবার যে করে প্রতারণা!!
নামিয়ে রাজপথে; একা ফেলে মাঝ পথে; অসহায়!
চলে গিয়েছে যে একদিন ভীষন নির্মমতায়!
খবর নেয়নি আর ব্যস্ততার ভীষণ অযুহাতে!
অথচ নিজের জন্য, পৃথিবীর সবার জন্য, ত্রিলোকের সবকিছুর জন্য অঢেল সময় ছিল তার।
যার এক ডাকে বারবার ছুটে ছুটে গেছি,
শতবার ডেকেও পাইনি তারে আর।
চাইতেই এক জীবন তারে করেছিলাম উৎসর্গ।
সমূখে এসে যবে পেতেছিল রিক্তহস্ত।
খারাপ সময়ে যার পাশে থেকেছি নিজের সর্বস্ব দিয়ে,
সেই পাশ থেকে সরে গিয়েছিল সবটা খারাপ করে দিয়ে।
নির্দিধায় করে গেছে শত অসম্মান!
তার নাকি নিজের সুতোয় পরেছে টান।
হঠাৎই খেয়াল হলো, নিলো অন্তর্ধান।
মনে পড়ে গেল ; তার আছে গোলা ভরা ধান।
খাপে খাপ মিলে গেছে বেমাপের চটিখান।
যার নাকি ছিল না কেউ, হঠাৎ সে ফিরে পেলো সবেরে।
যে ছিল বিশ্বাসে মিশে ছেড়ে গেছে শুধু তারে।
না! একেবারে বঞ্চিত করেনি বটে!
বলেছিল 'ধন্যবাদ, পাশে ছিলে তুমি!'
'খারাপ সময় কেটে গেছে, আসতে পারো এখন।'
কেউ কেউ হারায় বলেই নাকি কেউ কেউ পায়
শুরুতে বলেছিল যা; অন্তেও বলে গেলো তা!
দিয়ে গেছে যে শত লাঞ্ছনা; করে গেছে অপমান নিরন্তর!
তার তরে আর যেনো না কাঁদে বেহায়া এ অন্তর।
আজও জানি না, কোন মতিভ্রমে একদিন পায়ে পরেছিলাম তার!
হৃদয় নিংড়ে সুধা ঢেলে, অপাত্রে করেছিলাম হাহাকার!
জানিনা কোন সে কারণে সয়ে গেছি এত অবহেলা, এত অনাদর!
ঋততা জেনেও, কোন এক মোহে, বহু প্রহর কাটিয়েছি প্রপঞ্চনায়
ভুলতে চাই না আর সে অপ্রেমিকের অনৃতবাদীতায়।
শুনতে চাইনা আবার নতুন করে কৈতবের আবৃত্তি!
ভয় পাই নিজেরে! সামলে রাখি প্রতিবিধানের প্রবৃত্তি!
লেখা: নভেম্বর ২০২৩