তোমার দেয়া শেষ রক্ত জবাটা...
যেটা তুমি শাহজাহানের তাজমহল আঙিনা থেকে
গোপনে ছিড়ে আমার হাতে গুঁজে দিয়ে-
বলেছিলে ভালোবাসো আমায়!
আজও রোজ দেখি সে ফুল নীল ডায়েরীর ভাজ উল্টে।
রক্তাক্ত হয়ে সাদা পৃষ্ঠায় আছে লেপ্টে!
ফুল নয়তো!
কি জানি এক ভুল হয়তো!!
তারপর একদিন.....
মধু জবা স্রোতস্বিনীর বুকে ভাসিয়ে দিয়ে
তোমার দেয়া রাই কুসুম তোমাকেই ফিরিয়ে দিয়ে;
মেঠো পথে হাটতে হাটতে হঠাৎ
বললাম দৃঢ় কন্ঠে-
"আমায় আর ফুল দিও না"।
তবুও চুরি করে যে সজিনার ফুল গুঁজে দিয়েছিলে আমার ব্যাগে
আজও রেখেছি পরম যতনে!
সেই তোমার শেষ ফুল দেয়া আমায়!
আগে যখন রোজ ফুল দিতে......
আহঃ
যন্ত্রণায় কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে!
ছলনার কি সে শুভ্র রূপ!
তারপরও বহুকাল পর্যন্ত দেখেছি তোমার ফুল দেয়া-নেয়া,
লজ্জায় অপমানে মুড়ে গেছি কতবার!
এমন বাস্তবতায় আটকে গিয়েছিলাম যে,
রোজ আমায় হাজারবার মরতে হতো।
মনে হতো কেউ এক হাজার চাকু দিয়ে একসাথে আঘাত করছে।
শরীরের ২০৬খানা হাড় একত্রে কেউ ভেঙে ফেলছে ।
সে নেপথ্য চরিত্র একমাত্র তুমি।
তুমি ছাড়া আর কেউ নয়।
এত বড় অধিকার দেইনিতো কাউকে কোনদিন।
এরপরও কতদিন একটা ফুলের জন্য কলিজা শুকিয়ে মরু হয়েছে, হৃদয় হয়েছে বিলীন!
রাস্তার ধারে কত ভৃঙ্গরাজ, কত রুয়েলিয়া ফুটে থেকেছে
আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠেছে প্রতিনিয়ত।
কিন্তু না!
তোমার জন্য ফুলতো আর আমি তুলতে পারিনে,
সে দিন শেষ।।
আমাদের গেছে যে দিন, একেবারেই গেছে।