ঠিক কতখানি অনুভব করলে তারে ভালোবাসা বলে?
আমার সে অনুভূতি কোনদিন তোমারে যাইনি বলে!
কোনো বলবো বলতো?
সেকি কেবলি আমার অনুভবের অসম্মান ছাড়া কিছু হতো?
তুমি কোনদিনই ঠিকঠাক মর্যাদা দেবে না আমার ভালোবাসার! সেকথা নয় অজ্ঞাত।
যেমন রোজ সূর্য ওঠে, আবার অস্ত যায়,
নদীতে জোয়ার আসে আবার ভাটীও হয়।
তেমনই চিরন্তন সত্য।
তবুও তুমি কোন মিছে আশে আমায় বারেবারে;
হঠাৎ ভাসিয়েছ প্রচন্ড প্রেমের জোয়ারে!
পরক্ষণে হারিয়েছ ভাটিতে।
পৃথিবীতে বিড়ম্বনার নাম আমি শুনেছি অনেক রকম।
তবে ভালোবাসার বিড়ম্বনার সাথে পরিচয় এই প্রথম।
কি এক অসহ্য অনুভূতিতে বাস আমার।
আমায় নাকি ভালোবাসো খুব! সবটাই দিয়েছ তোমার!?
তবে কোনো তোমায় দেখার ইচ্ছে হলে লাগে আমার কারণ?
কেনো তোমায় ছোয়া আমার ভীষণ রকম বারণ?
কেনো আমার ডাকপিয়ন;
তোমার দোরগোড়ায় যেতে পারে না যখন-তখন?
কেনো তুমি কেবলি স্বপ্নের মতন!
বারবার শেষ হয়ে যায় ঘুম ভাঙে যখন।
তারপর নির্ঘুম বাকী রাত একাকী!
হঠাৎ ঝিমটি লেগে গেলে চুলের গোড়ায় কোমল পরশের অভাব আমায় ঝাঁকিয়ে দিয়ে যায়!
দেয়ালগুলো যেন চেপে ধরতে চায়!
চলতি পথে শীতের রাতে এক কাপ ধোয়া ওঠা উষ্ণতা কোনো শুধুই ক্ষনিকের প্রাপ্তি হয়?
কেনো প্রচন্ড শূন্যতা বারেবারে আমায় তলিয়ে নেয়?
স্রোতস্বীনিওতো চায়-
দূরপাল্লার যাত্রায় অপরিচিত কেউ নয়!
বরং থাকুক একজন নিজের মানুষ পাশে।
যেন নিশ্চিন্তে চোখটা বুজতে পারে এক দন্ড যদি ঝিমটি আসে।
ব্যস্ত রাস্তা পার হতে গিয়ে কেউ হাতটা ধরুক হঠাৎ।
আজন্মই আলিঙ্গন করেছি বজ্রকান্তক খুঁজে খুঁজে ছায়াতরু মহৎ!
তবে কেউ কেউ সবটা পেয়ে যায় বারেবার!
বুঝে নেয় ন্যয্য সব অধিকার।
আর কেউ সব সামলাতে পুনঃপুনঃ সব ছেড়ে;
ফিরে যায় নিজ নীড়ে।
আচ্ছা কেমন হতো?-
যদি স্রোতস্বীনিও সকল অধিকারের দাবি নিয়ে সমূখে গিয়ে দাড়াত?
শাহজাহানের প্রেমের সে সমাধী
আজও অবাক বিস্ময়ে দেখে গোটা পৃথিবী
কত যুবরাজ প্রেয়সীর জন্য রাজ্য ছেড়ে নেমেছে রাস্তায়।
আর তুমি? সবই চাও খুব সস্তায়!
তোমার মুখে কেবলি হাজার কথার চুক্তি!
নিজের করা প্রতিটি অন্যায়ের পক্ষে শুধু যুক্তি আর যুক্তি!