বারেবারে তুমি ভেঙে দাও আমায়।
কেনো রোজ রোজ তুমি ভেঙে দাও আমায়?
অবশ্য তাতে আমার ভালোই হয়েছে।
তোমার প্রতি টান কমছে এবার একটু একটু করে।
এমনি করেই এক সময় পুরোটা মায়া কাটিয়ে উঠতে পারবো হয়তো।
হয়তো প্রকৃতির ইচ্ছা এমনই!
তাতেই হয়তো তোমার-আমার-সকলের মঙ্গল হবে।
আমি জানি না তুমি ইচ্ছে করেই এমন করো কিনা!
আমায় দূরে সরিয়ে দেবার জন্য।
আমি আজও বুঝে উঠতে পারি না তুমি ঠিক কি চাও আমার কাছে।
বললেই বলো 'না'।
তোমার সকল কথাই শিরোধার্য সবসময়।
নিজের সব অন্যায্যতাকে সঠিক মেনে,
অন্যের লাটাই তুমি দু'হাতে সন্তর্পণে ধরে রাখবে।
এক চুল ছাড় হবে না সেখানে।
তাতেই তোমার গৌরব।
এভাবেই হয়তো জয় হয় তোমার পৌরষের।
তাই ভেবে নিয়েছি আর কিছুই বলবো না তোমায়।
যে সব বুঝেও, বুঝতে চায় না; মানতে চায় না!
তাকে তো বলা আর না বলা সমান কথা। তাই না?
এভাবেই নিজের সাথে যুদ্ধ করে করে আমি দিন পার করছি আজকাল।
অবশ্য অনেক, অনেক দিন থেকেই সেটা করে আসছি।
জানি না এমনি করে আর কতদিন পারবো!
একদিন হয়তো হঠাৎ চলে যাবো।
অনেক দূরে চলে যাবো।
আর খুঁজেও পাবে না।
একটা ছোট্ট চিরকুটও দিয়ে যাবো না, মনে রেখো।
এক পাহাড় সমান প্রচন্ড অভিমান নিয়ে চলে যাবো।
যে অন্য কারো মন খারাপ বোঝার চেষ্টা করে না!
ভালো লাগা, মন্দ লাগার তোয়াক্কা করে না।
আবেগের ধার ধারে না!
বোঝে না আত্মসম্মানের আঘাত কিসে হয়!
বোঝে না মর্যাদা কিভাবে ধূলিসাৎ হয়।
আর কিভাবে তা রক্ষা হয়।
তার কাছে কথা রাখার কিসের দায়?
তাই একদিন হঠাৎ করেই চলে যাবো।
ভেবো না। তোমায় জিতিয়ে দিয়েই যাবো।
সব দায় মাথা পেতে নেবো।
রোজ রোজ আমার অপমানের কথা কক্ষনও কারো সামনে বলবো না মুখ ফুটে।
বলবোনা শঠতার কোন খেলায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ফিরে এসেছি।
মনের অনেক গহীনে কবর দেবো সেসবের।
তোমার না হয় চিরকালের জেতার গৌরব অটুট রইল।
গর্ব করে বলতে তো পারবে। 'আমিতো কাউকে ছেড়ে দেইনি'।
তবে কেউ জানবে না যেটা তা হলো; 'ছেড়ে না দিলেও, ছেড়ে যাবার সকল ব্যবস্থাই তুমি করেছিলে'।
তুমি তো জানোই, জেতার খুব বেশি আগ্রহ আমার কোনো কালেই ছিল না।
কারণ আমিতো আমায় জানি।
তার জন্য জিততে হবে কেনো আমায়?
কি দায় আমার নিজেকে প্রমান করার?
তাই আমার সম্পর্কে কারও ভুল ধারণা কোনোদিন ভাঙাতেও যাইনি।
আজও যাবো না।
আর তুমিতো আমার সবচেয়ে প্রিয়জন।
তোমার কাছে হেরে যাওয়া বরং আমার আনন্দেরই হবে।
শুধু আমিই না হয় জানবো কতটুকু দিয়ে গেলাম,
আর কতটুকু নিলাম।
নিলাম!?

ভালো থেকো।
~স্রোতস্বীনী।