চারখানা উচু দেয়ালের ঘর।
জীবন যেনো সিমীত হয়ে আসে এখানে রোজ।
আমার নিশ্বাসের প্রতিধ্বনি আমি নিজেই শুনতে পাই।
নিশুতি রাতে কংকালের মতো দাত বের করা হাসির বিকট  আওয়াজ দেওয়াল ফেটে বেরিয়ে আসে যেনো!

লাল সীমানা টানা এক বৃত্ত!
ঠিকঠিক ওর গন্ডির ভেতর ঘুরেই চলেছে অনবরত।
ভেন্টিলেটরের ওপর থেকে এক ফালি আলো হাজিরা দিয়ে যায় রোজ সকালে নিয়ম করে,
সরকারে চাকুরের মতো।
ব্যাস!

না! কোনো জানালা নেই যে চড়ুই পাখি এসে বসবে!
সোনালী রোদে পর্দা টেনে দেওয়ার দরকারও পরে না।

সিলিংয়ের ঝকঝকে তে'পাখা ঘুরছে একনাগাড়ে!
হৃদয়ের উত্তাপ বেড়ে চলছে!
ঘর ঠান্ডা করার যন্ত্র; নিরন্তর তাপ নিয়ন্ত্রণ করছে।
তবুতো জানে না ওরা!
এইসব শতকোটি শরীরে তাপ বেড়ে যায় শুধু একটু ওমের অভাবে।
এই শহরে ওম পাওয়া যায় না?
বুকের ওম?