প্রতিটি মুহুর্ত কাটে শুধু একটি নতুন কবিতার প্রত্যাশায়!
হয়তো তোমার সময় মেলে না
নয়তো আমায় নিয়ে আর লিখতে চাও না!
তবু বেঁচে থাকি রোজ অজানা এক আশায়।
কবিতার পাতায় আর নাইবা রলেম,
নাইবা রলেম গদ্যে!
নাইবা রলেম হৃদয়ে তোমার,
কখনোতো ছিলেম!!
তবু একদিনতো আশ্রয় দিয়েছিলে!
আমার পুরোটা জুড়ে নিয়ে হঠাৎ তুমি নীড়ে ফিরে গেলে,
ঠিক ঠাকুর মশায়ের সেই পোস্টমাসটারের মতন।
হেলায় রইল পরে হেথায় অমৃত সে রতন!
যতই ভেবেছি আমি তোমায় নিয়ে
ভেবে ভেবে হৃদয় গিয়েছে ক্ষয়ে।
চিন্তার হারিয়ে ফেলেছি খেই কতবার!
নিজের কাছে নিজেই কত প্রশ্ন করে ভেঙে হই চুরমার!
কি ছিল এ প্রণয়ের নাম?
জীবন দিয়ে দিতে হলো যার দাম!
হঠাৎ যদি যেতে হবে দূরে, তবে
কিসের ঘোরে ছিলেম এতটা পথ জুড়ে?
হয়তো আমি তোমার শক্তি ছিলেম
নয়ত তুমি আমার,
নয়তো কেউই কারোর কিছুই ছিলাম না!
পুরোটাই অবাস্তব অলীক কল্পনা!
সেইবা কম কি?
কম?
হয়তো কম!
হয়তো কোনকিছুই সত্য নয়।
তবুও সবই সত্য!
যে সত্য চোখে দেখা না যায়।
বস্তব তাকে গিলে নেয়।
আমাদের সামনে নিজের সত্যতা জানান দেয় প্রকৃতি, সত্যতা জানান দেয় এ পৃথিবী
প্রতি মুহুর্তে তারা চিৎকারিয়ে বলে আমি আমি আমিই একমাত্র সত্য।
তোমরা আছো বাস্তবে নয়তো অবাস্তবে।
সত্যের দেখা তোমরা কোনদিন পাবে না।
নশ্বর পৃথিবী পচে গলে যাবে;
মহৎ মানুষের অমর কৃত্তি সৃষ্টি হবে,
হবে ধ্বংস!
তবু সত্যের দেখা তোমরা পাবে না।
তোমরা বের হতে পারবে না বৃত্তের সীমানা থেকে।
অসীমতা কখনো তোমাদের গ্রাস করবে না।
তোমরা আস্তাকুঁড়ে পচে মরবে
তবু এ মহাবিশ্বের সত্য তোমাদের রবে চির অজানা।