জোনাথন শান্তি চেয়েছিল
ভুমধ্য সাগরের নীচে বয়ে যাওয়া গভীর শান্তি
স্রোত। সেও কি এমনি নীল, আকাশে যেমন ?
জোনাথন সমুদ্রের টানে ঘর ছেড়েছিল
বয়েস মাত্র তেইশ
চাটগাঁর শুঁটকী মাছের আড়ত
ভন ভন মাছি আর মাছেদের মাংসের ঘ্রান নিতে নিতে
যে মেয়েটার মুখ তার বুকের উল্কিতে চিরস্থায়ী হয়েছিল
তাকে সে চাঁদের হাটে কিনে নিতে চেয়েছিল।
নগদে ছিল না বেশী তাই
জমতে জমতে বালি থেকে ঝিনুকের মুক্তো
হওয়ার অপেক্ষায় কতটা সময় হয়েছিল ছাই।
পরের বার দালাল তাকে দিয়েছিল
ডায়মন্ড হারবারের নূতন ঠিকানা
সমুদ্র আর করোগেট টিনের আস্তানা
দূরত্ব থাকেই
কোথাও ছিল না সে, খুঁজেছিল যাকে
দৌলতিয়া, ধারাভি, পটায়া ব্যাঙ্ককে
জল বয়ে যায়
ঝাপসা হয়ে আসে পাড়ি
ঝঞ্ঝার জলছবি রাতের ক্যানভাস জুড়ে
একটি কথাই এঁকেছিল
জোনাথন শান্তি চেয়েছিল।
কোন এক গাঁয়ে, কোন এক কদম গাছের
ছায়া তলে একটুকরো ভুমধ্য সাগর
সাড়ে তিনহাত জমির ক্ষেত্রফলে বাঁধা পড়েছিল।
সেই উল্কি আঁকা বুক ভাসিয়ে দেওয়া জলে
মাছের মাংসের মত নরম কিশোরীর
সাম্পান চড়ে সে অনেক দূরের পাড়ি চেয়েছিল
জোনাথন শান্তি চেয়েছিল।
---------------------
০১/১১/২০১৮