বারশ পৃষ্ঠার মাঝামাঝি এসে মনে হল
সব চরিত্র, ভিলেন, ঘটন-অঘটন, সম্পর্ক-দুরাচার
ঘেঁটে হয়েছে একাকার
আমাকে আবার
সুচনা পর্বে ফিরে যেতে হবে
যদি ফিরে যাই , শেষটা যেমন ছিল
তেমনই থাকবে ? নাকি বদলে যাবে ?
আজ যে নদীশরীর খামচে খামচে দগদগে ঘা
বালিভরা লরিদের টায়ারের দাগ আঁকা
ঘোর লাগা গোধূলিবেলার মসৃণ
সে নদীকে কি আর পনেরো পাতায় পাবো ?
সেই চামেলি তেলের কারবারি,
পৌরুষ উজ্জীবন মাদুলি-পাথর ফেরী
কোন পাতায় খুঁজবো ?
রাণ্ডীটোলার অন্ধ ভিখারি আর তার
পাপ ধোয়ানো কৃষ্ণনামের সুর কোথায় বইবে
হাবুলের দিঘল বঁড়শী, দুপুর ছায়ার হিজল গাছ
বারদুয়ারী শ্মশান দীঘি, খলুই ভরা মাছ
এই সব স্মৃতি কোহিনূর কি তেমনই থাকবে ?
ইতিহাস অনেক রকম করে লেখা যায়
বারশ পৃষ্ঠার মাঝামাঝি এসে মনে হল যা গেছে যাক
বাকিটা রয়েছে যা ,
তাই দিয়েই আবার শুরু করা যাক ।
----------------------
৯/৭/১৮