প্রনাম গুরু মহাশয় ,
আপনার সঙ্গে পরিচয় আমার সেই ছোট্টবেলায়
চিন্ময় মাস্টারমশায়ের লিখায় সেলেটে খড়ি ঘষে ঘষে
হাত ব্যাথা হয়ে যাওয়ার বেলা -
ঘন মেঘ বলে ঋ/ দিন বড় বিশ্রী ।
তারপর একদিন বাবার হাত ধরে কলকাতায়
আপনার পাথর মূর্তি দেখে চিনতে পারা
আর বাবার আদেশে জোড়হাতে প্রনাম।
চিনতে ভুল হয়নি একটুও - তার আগে যে
ছবিতে মালা দিয়ে, আনন্দধারায় ভুবনে ভাসিয়ে
বর্ষার ব্যাঙের মত কোরাস গেয়েছি অনেক।
দিন যত গেছে, যত বেড়েছে বয়সের মাপ
সার সত্য বুঝেছি এই – চিনতে বাকি রয়েছে অনেক ।
যদি ডুবে আর না উঠি, আপনার সৃষ্টি সাগরের তীরে বসি, আর
একটু একটু করে চেখে দেখি, অশেষ আনন্দলীলা বানভাসি ।
খুব অবাক লাগে, আবার রাগও হয়
দেখি যখন কিছু শিক্ষিত(?) পরিশ্রমী শুয়োর
আপনার অন্দরমহলের পাঁক ঘেঁটে উল্লসিত হয়
নষ্ট নোট খুঁজে এনে পুরষ্কারের লাইনে দাঁড়ায়।
তা সে যাক, যে যেমন পারে মরুক গে যাক
আমার ইচ্ছাটি আপনাকে বলি -
জীবনের প্রতি পদে যেন -
পরশে তোমার হৃদয় হোক - থরো থরো
এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর ।
------------------------------------
২২শে শ্রাবণ, ২০২৫