বাজিছে গানের লহরী,ঢোল-সানাইয়ের পরে,
কেউ সাজায় বরণডালা কেউ সাজায় বিয়ের কনেরে।
অন্যের ঘরে চলিয়া গিয়াছে সখী,বঁধু সাজিয়া,
প্রেমের জ্বালায় জ্বলেছি আমি পিরিত করিয়া।
কত না ভালোবেসে দিয়েছিলাম মন,
গোপন বাসর ভাঙিয়া কেন করিলে এমন!
দুদিনের ভালোবাসা ফুটিয়াছিলো ঝড়িল দুদিনে,
এখনো খুঁজি তারে এ নিখিল বিশ্ব ভুবনে।
রাতের বেলায় স্বামীর সোহাগে যখনি দেখিবে চেয়ে,
স্রোতের শ্যাওলা হয়ে ভেসে চলেছি বেদনার তরী বেয়ে ।
সৃজু হবে তুমিই আমার প্রাণের স্বামী গলার ফুলের মালা,
কত কথা দিয়েছিলে,সাক্ষী আজো রবিশশী -গাছপালা।
তোমার বাহুদুটি কুটির হইবে,আঁচল হইবে কুঞ্জের চাল,
তোমার সহিত জড়ায় রইবো নীরবে সারাটি কাল।
মিছে হলো সব চাওয়া পাওয়া ভিজিল দুটি আঁখি,
এত ভালোবাসাবাসি তবুও মোরে দিয়ে গেলে ফাঁকি।
ব্যাথার সায়রে হাবুডুবু মোর জীবন বিষন্নতার সুর,
মনে পড়িবে যখনই আমায় আমি তখন বহুদূর।
সে দেশ হইতে আসিবে খবর একটি বারের তরে,
শেষ জনমের মতো দেখিতে চাহি এ দু আঁখি ভরে।
চিঠি আসিয়া ফিরিয়া যাইবে বেনামি বলিয়া,
আসামি সেজেছি আজি সব দোষ নিজে লইয়া।
কিসের আশায় বাঁধিবো ঘর জীবনের খেলাঘরে,
স্রোতের শ্যাওলা হয়ে ভেসে চলেছি বেদনার তরী বেয়ে।
আমায় সুখ দিতে কতনা কষ্ট করেছ কত মতে,
আমি পারিলাম না তোমায় এতটুকু সুখ দিতে।
এই হতভাগা চলিল আজি নিয়ে ব্যাথার বুক,
জনমের মতো ছেড়ে চলে যাই থেকো নিয়ে স্বামীসুখ।
সাক্ষী থাকিও জোনাকিরা রাতের আঁধার পরে,
যাবার সময় শুধু মনে পরে প্রথম দেখার দিনটারে।
ভুলিতে পারিনা কভু যত ভুলিতে চাই,
আমায় ভুলিও তুমি বারে বারে একথা বলে যাই।
গভীর নিশিতে বিছায়ে বিছানা সাজায়ে ফুলমালা,
কত কথা মনে পরে সখী ,আসন্ন এ কালবেলা।
কোনোদিন যদি খুঁজিতে আসে সৃজনের সজনী,
বলেদিয়ো তারে চলে গেছে সে বহুদূরে বেয়ে তরণী।